২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ১৭,০০০ ছাড়িয়েছে
অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর, যা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত সংখ্যা বৃদ্ধির দিকে ইঙ্গিত করে। গত কয়েক বছরে, বিশেষত ২০২৪ সালের “ওপেন ডোর্স রিপোর্ট” অনুযায়ী, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে যেখানে এই সংখ্যা ছিল ৪,৮০২, সেখানে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭,০৯৯ জনে। এই বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পাঠানোর দেশ হিসেবে ১৩তম স্থান থেকে ৮ম স্থানে উঠে এসেছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের ১৭,০০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি রয়েছেন। ২০২৪ সালের “ওপেন ডোর্স রিপোর্ট অন ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনাল এক্সচেঞ্জ” -এর তথ্য অনুযায়ী, গত শিক্ষাবর্ষের (২০২২-২০২৩) তুলনায় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৬% বৃদ্ধি পেয়েছে।
চমকপ্রদ এই বৃদ্ধি বাংলাদেশকে এক বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পাঠানো দেশের তালিকায় ১৩তম স্থান থেকে ৮ম স্থানে নিয়ে এসেছে। গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫০% বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে যেখানে এই সংখ্যা ছিল ৪,৮০২ জন, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭,০৯৯ জনে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্যুরো অফ এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল অ্যাফেয়ার্স এবং ইন্সটিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন প্রতি বছর এই “ওপেন ডোর্স রিপোর্ট” প্রকাশ করে। এ প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রি-অ্যাকাডেমিক ইন্টেনসিভ ইংলিশ প্রোগ্রামে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তির তথ্য তুলে ধরা হয়।
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা রেকর্ড ১১,২৬,৬৯০-জনে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৭% বেশি। স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮% বেড়ে ৫,০২,২৯১ জনে পৌঁছেছে, আর স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ব্যবহারিক কাজের অভিজ্ঞতার প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ ২২% বৃদ্ধি পেয়েছে। কমিউনিটি কলেজগুলোতেও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা গেছে, যেখানে ভর্তির সংখ্যা ১৩% বেড়ে ৫৯,৩১৫ জনে পৌঁছেছে—গত ২৫ বছরের মধ্যে যা সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধির ঘটনা।
২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ৫০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি এবং ৩,৬৮,০০০টিরও বেশি কর্মসংস্থান তৈরি করেছেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ কমার্স। আন্তর্জাতিক শিক্ষা ও শিক্ষার্থী বিনিময়ের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার দৃঢ়, কারণ তা উদ্ভাবন ত্বরান্বিত করা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শক্তিশালী করা, কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করা এবং জাতীয় নিরাপত্তা জোরদার করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২০২৪ সালের আন্তর্জাতিক শিক্ষা সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস একাধিক ভার্চুয়াল এবং সরাসরি সেশন আয়োজন করছে। এসব সেশনে বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া, বিভিন্ন ধরনের একাডেমিক প্রোগ্রাম, তহবিল/স্কলারশিপের সুযোগ এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের স্পন্সর করা প্রাতিষ্ঠানিক ও পেশাগত বিনিময় প্রোগ্রাম সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। আরও তথ্যের জন্য ভিজিট : https://www.facebook.com/EdUSABangladesh বা ই-মেইল করুন: EducationUSA-Bangla@state.gov।
এডুকেশনইউএসএ হলো যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একটি আনুষ্ঠানিক নেটওয়ার্ক, যা ১৭৫টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ৪৩০টির বেশি পরামর্শ কেন্দ্রের মাধ্যমে বিনামূল্যে সঠিক, হালনাগাদ এবং বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করে। বাংলাদেশে এডুকেশনইউএসএ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার বিষয়ে বিনামূল্যে তথ্য ও পরামর্শ প্রদান করে। এডুকেশনইউএসএ অ্যাডভাইজাররা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন আমেরিকান স্পেস থেকে ভার্চুয়াল ও সরাসরি তথ্য সেশন পরিচালনা করেন এবং শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের একক বা দলগত পরামর্শ সেবা প্রদান করেন।