জর্জিয়ার প্রেসিডেন্টকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে ‌‌’জর্জিয়ান এয়ারওয়েজ’!

আন্তর্জাতিক পরিবহণ-পর্যটন ও যোগাযোগ

সুবর্ণবাঙলা ওয়েবডেস্ক

নিজ দেশের বিমানেই অবাঞ্ছিত ঘোষিত হয়েছেন জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট সালোমি জুরাবিচভিলি। জর্জিয়ার জাতীয় বিমান পরিবহণ সংস্থা জর্জিয়ান এয়ারওয়েজের প্রতিষ্ঠাতা তামাজ গাইয়াসভিলি প্রেসিডেন্ট জুরাবিচভিলিকে বিমান ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস রোববার এ তথ্য জানায়। এ ঘোঘণায় তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি এই প্রেসিডেন্ট।

জর্জিয়া এয়ারওয়েজের ভূমিকায় রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘ চার বছর পর সরাসরি বিমান চলাচল শুরু করেছে জর্জিয়া। প্রেসিডেন্ট জুরাবিচভিলি রাশিয়াবিরোধী ও পশ্চিমাপন্থি হওয়ায় জর্জিয়া এয়ারওয়েজের সমালোচনা করলে এয়ারওয়েজের প্রতিষ্ঠাতা গাইয়াসভিলি ক্ষুব্ধ হয়ে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। প্রেসিডেন্টের ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত অবাঞ্ছিত রাখার ঘোষণা বহাল থাকবে বলে জানান তিনি।

২০১৯ সালে জর্জিয়ায় রাশিয়াবিরোধী বিক্ষোভ দেখা দেয়। তখন দেশটির সঙ্গে সরাসরি বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয় রাশিয়া। কিন্তু মাত্র কয়েকদিন আগেই হঠাৎ রাশিয়া এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে দুই দেশের সরকার আবারও বিমান চলাচল শুরু করে।

রাশিয়া চলতি মাসে ঘোষণা দিয়েছে, এটি জর্জিয়ার সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইটে চারাটি পুরোনো নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে আর ভ্রমণকারীদের জন্য এক দশক পুরোনো ভিসার প্রয়োজনীয়তা উঠিয়ে নিচ্ছে। ফ্লাইট ফের চালু হওয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন জর্জিয়ার কর্মকর্তারা।

কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষের ও মস্কো থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে জর্জিয়ার কিছু নাগরিক রোববার কেন্দ্রীয় তিবিলিসিতে এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে।

তবে ২০০৮ সালে রুশ সেনাবাহিনীর জর্জিয়ার একটি বড় অংশ দখলের পর রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি বিমান চলাচলের বিরোধিতা করেছিলেন অনেকে। তাদেরই একজন প্রেসিডেন্ট সালোমি জুরাবিচভিলি। তবে অনেকে আবার এর পক্ষেও মত দিয়েছেন।

সাম্প্রতিককালে জর্জিয়ায় বর্তমান সরকার রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দিচ্ছে। এমনকি ইউক্রেন আক্রমণে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও জর্জিয়া এতে শামিল হয়নি।

এদিকে জর্জিয়ার রাষ্ট্রপতির পদটি পুরোটাই আলঙ্কারিক। দেশটির বর্তমান নারী রাষ্ট্রপতি সালোমি জুরাবিচভিলির সঙ্গে সরকারের দূরত্ব রয়েছে।

তার মতে, জর্জিয়া যদি রাশিয়া ঘেঁষা হয় তাহলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার যে স্বপ্ন তারা দেখছে সেটি বাধাগ্রস্ত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *