বর্ণবাঙলা প্রতিনিধি
সু
ফাইল ছবি
ভ্যাকসিন সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছেন জামালপুরের কয়েকশ হজযাত্রী। গত ১০ দিনে ভ্যাকসিন নিয়েছেন ১ হাজার ২৯৫ জন। এখনও ভ্যাকসনি পাননি প্রায় ৪০০ হজযাত্রী। সিভিল সার্জন অফিসে দিনের পর দিন ধরনা দিয়েও ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না তাঁরা।
বিভিন্ন হজ এজেন্সি থেকে জানা গেছে, জামালপুর সদরসহ সাত উপজেলায় এবার সরকারিভাবে নিবন্ধিত হয়েছেন ১ হাজার ৬৯ হজযাত্রী। কিন্তু সরকারি-বেসরকারি মিলে এ জেলার মোট হজযাত্রী প্রায় ১ হাজার ৭০০। গত ১০ দিনে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ২৯৫ হজযাত্রীকে। এখনও ভ্যাকসিন না পাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বাকি হজযাত্রীরা।
মোয়াল্লেমরা জানান, হজযাত্রীদের বিভিন্ন মেডিকেল রিপোর্টের সঙ্গে ইনফ্লুয়েঞ্জা ও মেনিনজাইটিস ভ্যাকসিন নেওয়া বাধ্যতামূলক। এ ভ্যাকসিনের ছাড়পত্র ছাড়া কোনো হজযাত্রী ইমিগ্রেশনের অনুমতি পাবেন না।
হজযাত্রীদের অভিযোগ, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের গাফিলতির কারণেই ভ্যাকসিন সংকট দেখা দিয়েছে। জামালপুরের অনেক হজযাত্রীকে ভ্যাকসিন নিতে পাশের জেলা ময়মনসিংহ, শেরপুর ও টাঙ্গাইলে যেতে হচ্ছে। সেখানে পোহাতে হচ্ছে নানা ঝক্কি-ঝামেলা।
রোববার জামালপুর সিভিল সার্জন অফিসের সামনে ভ্যাকসিনের জন্য ভিড় জমান শতাধিক হজযাত্রী। কথা হয় সরিষাবাড়ী উপজেলার শিমলা বাজার এলাকার হজযাত্রী মেহেরুন্নেছা, মজিবুর রহমান, চর আদ্রা গ্রামের আব্দুল হাই, আসকুল বেগম ও ছাতারিয়া গ্রামের জাহানারা বেগমের সঙ্গে। তাঁদের অনেকেই জানান, দু-এক দিন পরেই তাঁদের বিমানযাত্রা শুরু। ভ্যাকসিন দিতে না পারলে অনিশ্চিত হয়ে পড়বে তাঁদের হজযাত্রা।
সদর উপজেলার তিতপল্লা গ্রামের শহিদুল্লাহ দম্পতির দাবি, ভ্যাকসিনের জন্য দুই দিন ধরে সিভিল সার্জনের অফিসে ধরনা দিচ্ছেন। কিন্তু ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না।
মোয়াল্লেম হাফিজুর রহমান বলেন, শত শত হজযাত্রী জামালপুর সিভিল সার্জন অফিসে দিনের পর দিন ঘোরাফেরা করেও ভ্যাকসিন না পেয়ে হজযাত্রা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
জামালপুরের সিভিল সার্জন প্রণয় কান্তি দাসের দাবি, ভ্যাকসিনের জন্য অধিদপ্তরে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। সেগুলো এলে মঙ্গলবার নাগাদ আরও ২০০ হজযাত্রীকে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, ‘হজযাত্রীরা আল্লাহর মেহমান। তাঁদের সুন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য আমরা সব ব্যবস্থাই করেছি। দেশের কোথাও ভ্যাকসিন সংকটের খবর পাইনি। তবে জামালপুরে কেন ভ্যাকসিন সংকট হলো, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।