নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামে পাহাড়তলী রেলওয়ে ক্যারেজ এবং ওয়াগন মেরামত কারখানায় কর্মরত খালাসী নাজমুল হোসেন ও ইলেকট্রিক খালাসী বাহাদুরের বিরুদ্ধে সরকারি রেলওয়ের আবাসিক বাসা বহিরাগতদের কাছে ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
মাসে ৬০ হাজার টাকা করে বছরে সাত লাখ টাকার বেশি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।
সরেজমিন দেখা গেছে, পাহাড়তলী সেগুন বাগান ৪নং লেইনের শেষ মাথায় রেঞ্জ রোড়ের বাসা নং ই-২৮ সরকারি বরাদ্দ নিয়েছেন নাজমুল হোসেন। দীর্ঘ প্রায় দুই বছর এই বাসার আশেপাশে খালি জায়গায় অবৈধভাবে ১০টি দালান কোঠা নির্মাণ করেন।প্রতিটি ঘরের ভাড়া নেন ছয় থেকে সাত হাজার টাকা।মাসে প্রায় ৬০ হাজার টাকা নেন নাজমুল হোসেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভাড়াটিয়ারা বলেন, আমরা খালাসী নাজমুল থেকে ভাড়া নিয়েছি। বিদ্যুৎ,গ্যাস ও পানির অবৈধ ব্যবহার করলেও ভাড়ার সঙ্গে সব বিল দিয়ে দিচ্ছি।
ওই এলাকায় বসবাসরত জাহাঙ্গীর ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, খালাসী নাজমুল বড় অংকের টাকার বিনিময়ে এই বাসা খালাসী বাহাদুরের কাছে বিক্রি করেছে বলে আমরা জানি।
এ বিষয়ে খালাসী নাজমুল বলেন, আমি এখন ওই বাসায় থাকি না।বাহাদুর নামের আরেক খালাসীর সঙ্গে বাসা বদল করেছি।
বিক্রি করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন নাজমুল।তিনি আরো বলেন, এখন যত অনিয়ম সবই বাহাদুর করছে।
অভিযোগের বিষয়ে বাহাদুর বলেন, আমি গতমাস থেকে উঠেছি। বিদ্যুৎ পানি ও গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিষয়ে ভাড়াটিয়াদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন।
খালাসী নাজমুল ও খালাসী বাহাদুরের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তির আকার পরিবর্তন,গ্যাস বিদ্যুৎ ও পানির অবৈধ সংযোগসহ ভাড়া দিয়ে অনিয়মের বিষয়ে চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চল বিভাগীয় ম্যানেজার আবিদুর রহমান বলেন, সরকারি কোয়ার্টার অন্যত্র ভাড়া দেয়া অপরাধ।
তিনি আরো বলেন, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বসবাসের জন্য সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়।সেসব সুযোগ সুবিধায় ভাড়া দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়ে তদন্ত পূর্বক দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।