মালদ্বীপকে সাফে ২০ বছর পর কাঁদিয়ে উচ্ছ্বাস বাংলাদেশের

খেলাধুলা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

লেবাননের কাছে হেরে হতাশা ভর করেছিল। শঙ্কা জেগেছিল আরও একবার সাফের গ্রুপপর্ব থেকে বিদায়ের। এক জয়ে আশা কিছুটা হলেও জিইয়ে রাখল বাংলাদেশ। সাফে ২০ বছর পর মালদ্বীপকে হারিয়ে উচ্ছ্বাসের ভেলায় ভাসলেন জামাল ভূঁইয়ারা।

রোববার বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বি-গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ৩-১ গোলে হারায় মালদ্বীপকে। এই জয়ের পর সাফের শেষ চারে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখলেন স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা।

দারুণ এক ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। মালদ্বীপের বিপক্ষে ৫১ ভাগ সময় বল দখলে রেখে মোট ২০টি শট নেয় তারা, যার নয়টিই ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে সাত শটের মাত্র দুটি লক্ষ্যে রেখেও একটি গোল আদায় করে নেয় মালদ্বীপ। বাঁচা-মরার ম্যাচে গোল করে দলের জয়ে অবদান রাখায় তৃপ্ত রাকিব হোসেন। তার কথায়, ‘সাফে এটি প্রথম গোল আমার। ম্যাচও জিতেছি।
এটা বেশি ভালো লাগছে। আসলে আগে লং বল খেলতাম। এখন পাসিং ফুটবল খেলছি। বিল্ড আপ খেলছি। পুরো দল বদলে গেছে। আক্রমণাÍক ফুটবল খেলছি। তাই জিতেছি।’ ভুটানের বিপক্ষে পরের ম্যাচ নিয়ে তার কথা, ‘এই ম্যাচ জিতে বেশি আনন্দ করতে চাই না। কারণ সামনে ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ। সেই ম্যাচটা জিততে চাই। সবাই আমাদের সাপোর্ট দেবেন।’

হারলে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে কার্যত বিদায়ঘণ্টা বেজে যেত জামাল ভূঁইয়াদের। মালদ্বীপের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে প্রথম থেকেই আধিপত্য বজায় রাখে বাংলাদেশ। যদিও স্রোতের বিপরীতে ১৭ মিনিটে এগিয়ে যায় মালদ্বীপ। বক্সের বেশ বাইরে থেকে শট নিয়ে দারুণ এক গোল করেন হামজা মোহাম্মদ (১-০)। বিরতির ঠিক আগে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।
৪২ মিনিটে সোহেল রানা উঁচু করে বল দেন বক্সের মধ্যে। তপু হেডেই পাস দেন রাকিব হোসেনকে। রাকিবও দুর্দান্ত এক হেডে বল জালে জড়ান (১-১)। দ্বিতীয়ার্ধেও দাপট ধরে রাখে বাংলাদেশ। ৪৬ মিনিটে বিশ্বনাথ ঘোষের হেড বক্সের একটু ওপর দিয়ে চলে যায়। ৬২ মিনিটে কোচ হাভিয়ের কাবরেরা মজিবুর রহমান জনি, মোরসালিন ও ইব্রাহিমকে নামান। এই তিনজন নামার পর বাংলাদেশের আক্রমণের ধার আরও বাড়ে। মিনিটপাঁচেক পর (৬৭ মিনিটে) এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। তৃতীয় চেষ্টায় জটলার মধ্য থেকে তারেক কাজী বল জালে জড়ান (২-১)। লেবাননের বিপক্ষে তার ভুলেই গোল হজম করেছিল বাংলাদেশ। এবার যেন সেই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করলেন প্রবাসী এই ফুটবলার। তবে ৮১ মিনিটে ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়েন তারেক কাজী। এর কিছুক্ষণ পর বল নিয়ে সময় নষ্ট করে হলুদ কার্ড দেখেন ইসা ফয়সাল। ম্যাচের অন্তিম সময়ে বিশ্বনাথের বানিয়ে দেওয়া বল বক্সের ডানপাশে পেয়ে একজনকে কাটিয়ে চোখ ধাঁধানো এক গোল করেন মোরসালিন (৩-১)। পরের মিনিটে হামজার জোরালো শট পোস্টে লেগে ফিরলে ম্যাচে আর ফেরা হয়নি মালদ্বীপের। শেষে ৩-১ গোলের দাপুটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *