দেশে কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকারি চাকরিতে নেই: মন্ত্রী

জাতীয়

সুবর্ণবাঙলা প্রতিবেদক

বর্তমানে দেশে কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকারি চাকরিতে বিধি অনুযায়ী কর্মরত নেই বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

তিনি বলেন, এ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী বীর মুক্তিযোদ্ধার সর্বশেষ জন্ম তারিখ ৩০-০৫-১৯৫৯। সে অনুযায়ী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বিধি মোতাবেক চাকরিকাল হবে ৩০ মে ২০১৯ সাল পর্যন্ত। ফলে বর্তমানে কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকারি চাকরিতে বিধি অনুযায়ী কর্মরত নেই।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে একেএম রহমতুল্লাহর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

মন্ত্রী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতা বিতরণ আদেশ ২০২০ এর নির্দেশনা অনুসরণে তাদের সম্মানি ভাতা পরিচালনা করা হয়ে থাকে। ওই আদেশে এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট, সমন্বিত তালিকাভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দেওয়া হয়। চাকরি বা চাকরিরত নয় এমন সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জীবিতকাল পর্যন্ত এবং মৃত্যুর পর ওয়ারিশ স্ত্রী ও সন্তানরা ভাতা প্রাপ্য হন।

৩১ জরিপ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুতি: মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, জরিপ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে জিরো টলারেন্স নীতিতে তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত এবং বিভাগীয় মামলা দিয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। বর্তমানে ৫৮টি বিভাগীয় মামলা চলমান রয়েছে। বিভাগীয় মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ৩১ জন জরিপ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

কৃষি উপকরণ কার্ড পেয়েছেন ২ কোটি ৬ লাখ কৃষক: মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, প্রণোদনা, পুনর্বাসন, আর্থিক সুবিধা ও কৃষিঋণ প্রাপ্তির জন্য কৃষকদের নিবন্ধন করে কৃষি উপকরণ কার্ড প্রদান করা হয়। সারা দেশে এ কার্ডধারী কৃষকের সংখ্যা ২ কোটি ৫ লাখ ৯৯ হাজার ৮শ ৬৯ জন।

কৃষিখাতে ভর্তুকি: মোরশেদ আলমের এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বোরো মৌসুমে সেচ বাবদ কৃষি খাতে ভর্তুকি (২০ শতাংশ রিবেট) প্রদান করা হয়। ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত বোরো মৌসুমে কৃষি খাতে সেচ বাবদ এক হাজার ১৩২ কোটি ৭০ লাখ কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদান করা হয়েছে।

১০ বছরে বিশ্বের ১০ লাখ প্রজাতি বিলুপ্ত হতে পারে: আফজাল হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাবউদ্দিন বলেন, মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের কারণে পৃথিবীব্যাপী জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন। জাতিসংঘের তথ্যমতে প্রকৃতি ধ্বংসের বর্তমান ধারা চলতে থাকলে আগামী ১০ বছরের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ১০ লাখ প্রজাতি বিলুপ্ত হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পৃথিবীব্যাপী দূষণ যেভাবে বাড়ছে, তা অব্যাহত থাকলে ২০৭০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী প্রাণী ও উদ্ভিদের প্রতি তিনটির মধ্যে একটি প্রজাতি বিলুপ্ত হতে পারে। গত ৫০ বছরে গড়ে ৬০ শতাংশের বেশি বন্যপ্রাণী কমে গেছে। সে হিসাবে গত ১০ মিলিয়ন বছরের তুলনায় বর্তমানে প্রজাতি বিলুপ্তির গড় হার ১০ থেকে ১০০ গুণ বেশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *