সুবর্ণবাঙলা প্রতিবেদন
দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। প্রতিদিনই মৃত্যু ঘটছে, হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন হাজারো রোগী। সেইসঙ্গে ভাঙছে প্রতিদিনের মৃত্যু এবং আক্রান্তের রেকর্ডও। চলতি বছরে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে এক দিনে সর্বোচ্চ ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেলেন ১২৭ জন। একই সময়ে আরও ১ হাজার ৫৩৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত ১৭ জুলাই সর্বোচ্চ ৮ জনের মৃত্যু হয় এবং ১৫ জুলাই সর্বোচ্চ ১ হাজার ৬২৩ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ৯ জন ঢাকা সিটির এবং চারজন ঢাকা সিটির বাইরের।
এদিকে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি ১ হাজার ৫৩৩ জনের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৭৯ জন। ঢাকার বাইরে ৭৫৪ জন।
এ ছাড়া সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৫ হাজার ৫৬৯ জন রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৪৪৩ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ২ হাজার ১২৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে ২৪ হাজার। এর মধ্যে ঢাকায় ১৫ হাজার ৪৭৬ জন। আর ঢাকার বাইরে ৮ হাজার ৫২৪ জন।
এদিকে এখন পর্যন্ত ভর্তি রোগীর মধ্যে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৮ হাজার ৩০৪ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ১১ হাজার ৯৩৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ৬ হাজার ৩৬৭ জন।
এদিকে মৃত্যুর জন্য বিগত বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গু হেমোরোজিক ফেবার ও শক সিনড্রোমকে দায়ী করে জনগণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ।
জুলাইয়ের তুলনায় আগস্ট এবং সেপ্টেম্বরে পরিস্থিতি আরও খারাপের আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২৮১ জনের মৃত্যু হয়। তবে এবার ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ ধারণ করায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন বিশেষজ্ঞরা।