সুবর্ণবাঙলা প্রতিবেদন
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯৬ জন। এদিকে, ডেঙ্গু রোগীদের এবার সুস্থ হতেও বেশি সময় লাগছে।
মুগদা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বেশিরভাগ রোগীই ১০ দিনের আগে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না। অথচ আগে তিন থেকে পাঁচ দিনের চিকিৎসাতেই রোগীরা ভালো হয়ে যেতো।
মুগদা হাসপাতালের পরিচালক বলছেন, এবার ডেঙ্গুর লক্ষণে যেমন পরিবর্তন এসেছে, তেমনি চিকিৎসা দিতে গিয়েও হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদেরকে।
চৌদ্দ দিন ধরে জ্বরে ভুগছেন মুদগা হাসপাতালের এক রোগী। এসেছেন মাতুয়াইল থেকে। মোট চারবারের পরীক্ষায় তার ডেঙ্গু ধরা পড়েছে।
এই সময়ে প্লাটিলেট যেমন শঙ্কাজনক হারে কমেছে। তেমনি শরীর জুড়ে লাল লাল রেশ উঠেছে। সারা শরীরেই চুলকানি। চিকিৎসকদের ভাষায়, তিনি ডেঙ্গুর মারাত্মক লক্ষণে আক্রান্ত।
যাত্রাবাড়ি থেকে আসা এই রোগীর তিন দিনেই প্লাটিলেট নেমেছে ২০ হাজারে। রোগীরা বলছেন, তাদের এলাকায় মশার উপদ্রবও বেড়েছে। ফলে প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছেন কেউ না কেউ।
মুগদা হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান জানান, ঢাকার বাইরে থেকে জটিল অবস্থা নিয়ে রোগী আসছে। রোগীদের অধিকাংশই সচেতন নন।
এমনকি সময়মতো তারা পরীক্ষাও করাননি। ফলে তাদের ঝুঁকি বাড়ছে। এ ধরনের রোগীদের সেরে উঠতেও সময় লাগছে। গেলোবারের থেকে এবার ডেঙ্গুর চরিত্রও ভিন্ন রকম।
গেলো ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩৪ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে রাজধানীতে ডেঙ্গু চিকিৎসায় ভরসার কেন্দ্র হয়ে ওঠা মুগদা হাসপাতালে। হিমশিম খেতে হচ্ছে ডাক্তার নার্সদের।
জ্বর হলেই রক্তচাপ যাতে কমে না যায় সেদিকে লক্ষ রাখার কথা বলছেন চিকিৎসকরা। যারা ডায়াবেটিকে ভুগছেন ডেঙ্গু তাদের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
তাই সতর্কতা ও সচেতনতাই হতে পারে প্রথম প্রতিরোধ, বলছেন চিকিৎসকরা। সেই সঙ্গে বাসা বাড়ির আঙ্গিনা নিজ দায়িত্বেই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার আহবানও জানিয়েছেন তারা।