দুই গবেষকের দাবিদাওয়ায় অমরত্ব প্রত্যাশা

আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা-গবেষণা ও ক্যাম্পাস

সুবর্ণবাঙলা অনলাইন ডেস্ক


এলিজাবেথ প্যারিশ

স্প্যানিশ ভবিষ্যচিন্তক হোসে লুইস কর্দেরো এবং ব্রিটিশ গণিতজ্ঞ ডেভিড উড বছর পাঁচেক আগে ‘দ্য ডেথ অব ডেথ’ বা মরণের মৃত্যু নামে একটি বই লিখেছিলেন। অতিমারি পার করে এসে, গত মাসেই প্রকাশিত হয়েছে সেটির আন্তর্জাতিক সংস্করণ। আর নতুন করে শুরু হয়েছে চর্চা।

বিশ্বজুড়ে গবেষণাক্ষেত্রে পৃষ্ঠপোষণার ঝোঁক বিচার করে কর্দেরো এবং উডের পর্যবেক্ষণ, জরাকে রোগ হিসেবে বিবেচনা করা শুরু হয়েছে। তবে সেই বালাই কাটিয়ে ফেলা সময়ের অপেক্ষা। তাদের মতে, ন্যানো টেকনোলজি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, নতুন করে কলা-কোষ তৈরির পদ্ধতি, স্টেম সেল চিকিৎসা, অর্গান প্রিন্টিং, ঠান্ডায় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংরক্ষণের প্রযুক্তি আর জেনেটিক থেরাপির অগ্রগতি ২০৪৫ সালের মধ্যেই সভ্যতাকে সেই পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে।

দুই গবেষকের বক্তব্য, জরা কেবল জীর্ণ করে। ক্রোমোজমের টেলোমিয়ার বলে একটি অংশ হ্রাস পেতে থাকে। সেটিকে দীর্ঘায়িত করে বয়সকে উল্টো পথে হাঁটানোও সম্ভব। বার্সেলোনায় বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির প্রৌঢ় গবেষক কর্দেরোর দাবি ছিল, তিরিশ বছর পরে চাইলে তিনি তরতাজা যুবক হয়ে উঠতে পারেন। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে আমেরিকার একটি জৈবপ্রযুক্তি সংস্থার কর্ণধার, ৪৪ বছর বয়সি এলিজাবেথ প্যারিশ নিজে দুটি জেনেটিক ট্রায়ালে অংশ নিয়েছিলেন। তার সংস্থার তৈরি দুটি ওষুধ তিনি নিজেই নেন। সংস্থাটির দাবি, তার মধ্যে ‘মায়োস্ট্যাটিন ইনহিবিটর’ পেশির বয়সজনিত দুর্বলতা কাটিয়ে তুলতে পারে আর ‘টেলোমারেস জিন থেরাপি’র সাহায্যে কোষের বয়স কমিয়ে দেওয়া সম্ভব। ২০১৫ সালের পরে ২০২২ সালে ফের এই চিকিৎসা করান তিনি। প্যারিশের দাবি, প্রতি বছর গড়ে পাঁচ বছর করে বয়স কমছে তার। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, জন্মসূত্রে ৫২ বছর বয়সি প্যারিশের এখন শারীরিক বয়স মাত্র ২৫। -ইয়াহু নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *