সুবর্ণবাঙলা প্রতিবেদন
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ১৩ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছি, দেশে এসেছে মাত্র তিন লাখ টন। এর অর্থ হলো দেশেও পেঁয়াজ আছে।
রোববার বিকালে রাজধানীর ফার্মগেটে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের (সিডিবি) মিলনায়তনে দেশে প্রথমবারের মতো বিটি তুলার ২টি জাতের অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মাঠ পর্যায়েও খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, দেশের কৃষকদের নিকট এখনো তুলনামূলকভাবে পেঁয়াজের মজুদ আছে। কাজেই, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেও দেশে পেঁয়াজের দামে তেমন প্রভাব পড়বে না। শুল্ক আরোপের ঘোষণায় এখন দাম কিছুটা বাড়লেও কয়েক দিন পর কমে আসবে।
তুরস্ক, মিশর ও চায়না থেকে পেঁয়াজ আমদানির চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: টম ল্যানটস কমিশনের আলোচনায় কংগ্রেসের প্রতিনিধি ছিল না: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশে বছরে ৮৫ লাখ বেল তুলার প্রয়োজন হয়, আর উৎপাদন হয় দুই লাখ বেল। চাহিদার কমপক্ষে ২০ শতাংশ বা ১৫ লাখ বেল তুলা দেশে উৎপাদন করার সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, সেই লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি নিয়ে কাজ করতে হবে। হাইব্রিড ও বিটি তুলার চাষ করতে পারলে বছরে দেশে ১৫ লাখ বেল তুলা উৎপাদন সম্ভব হবে।
মন্ত্রী বলেন, দেশে তুলার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। আগামীতে আরও বাড়বে। বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মীসহ সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে, যাতে দেশেই চাহিদার ২০ শতাংশ তুলা উৎপাদন করা যায়।