স্রেফ এমএ পাশেই বেতন ৫ লাখ টাকা!

অন্যান্য জাতীয়

সুবর্ণবাঙলা অনলাইন ডেস্ক

‘আরলি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট ক্যাপাসিটি এনহ্যান্সমেন্ট অব পারটিসিপেটিং ইউনিয়ন পরিষদ’ প্রকল্পের মোট ব্যয় ১ হাজার ২৮ কোটি টাকা।এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৩৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা এবং বিশ্বব্যাংকের ঋণ থেকে ৯৯১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয় করার কথা।

১ হাজার ২৮ কোটি টাকার মধ্যে পরামর্শক নিয়োগ ও প্রয়োজন নেই এমন জনবল খাতেই ধরা হয়েছে ৯২৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এটি মোট প্রকল্প খরচের প্রায় ৯০ শতাংশ।

এই প্রকল্প প্রস্তাবে সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, সিনিয়র ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট, সিনিয়র গ্রান্ট ম্যানেজমেন্ট এবং সিনিয়র অডিট স্পেশালিস্টের মাসিক বেতন ধরা হয়েছে ৫ লাখ টাকা করে। অথচ তাদের অভিজ্ঞতার কথা বলা হয়নি। শুধু এমএ পাশ শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া কিছু পদে বাস্তব অভিজ্ঞতা ছাড়া শুধু স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা বলা হয়েছে। যেমন, ডিজাস্টার ফ্যাসিলেটর পদের জন্য মাসিক বেতন ধরা হয়েছে ১ লাখ টাকা। এগুলোর যোগ্যতা গ্রহণযোগ্য নয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন প্রস্তাব যারা তৈরি করেন তাদের জবাবদিহিতা না থাকা এবং উল্লেখযোগ্য শাস্তির নজির নেই বলেই এ ধরনের প্রস্তাব আসা বন্ধ হচ্ছে না।

জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, এটা ভয়ংকর প্রস্তাব। আমরা চাই প্রকল্প হোক, মানুষের উপকারে লাগুক। কিন্তু এমন অপ্রয়োজনীয় ব্যয় প্রস্তাব কারও কাম্য নয়। এটা আমার পর্যন্ত এখন আসার কথা ছিল না। এরপরও যখন বিষয়টি জানলাম তখন খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেব।

এ প্রসঙ্গে কথা হয় স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিকল্পনা, পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন ও পরিদর্শন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ডা. মো. সারোয়ার বারী বলেন, বিশ্বব্যাংকের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী জনবলের বেতন ধরা হয়েছে।

এটা লুটপাটের আয়োজন কিনা? এর জবাবে তিনি তেমন কোনো মন্তব্য করেননি।

বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ৫ লাখ টাকা বেতন দিয়ে শুধু এমএ পাশ লোক এখানে শিশুদের উন্নয়নে কী করবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজন শিক্ষাবিদ, পুষ্টিবিদ, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন লোক। কিন্তু প্রস্তাবিত জনবল দিয়ে কীভাবে লক্ষ্য পূরণ হবে সেটি প্রশ্নবিদ্ধ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *