ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ ‘ব্যর্থ’ হয়েছে: পুতিন

আন্তর্জাতিক

অনলাইন ডেস্ক

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: বিবিসি থেকে নেওয়া

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আবারও রাশিয়ার বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ ‘ব্যর্থ’ হয়েছে বলে দাবি করেছেন। অন্যদিকে, কিয়েভের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, পূর্ব দনেৎস্ক অঞ্চলের বাখমুত শহরের চারপাশে তারা আরও কিছু ভূখণ্ডের দখল ফিরিয়ে নিয়েছে। খবর আল-জাজিরার।

সোমবার কৃষ্ণ সাগরের অবকাশ যাপনকেন্দ্র সোচিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেন পুতিন। নিরাপদে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির চুক্তিকে পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ে হওয়া ওই বৈঠকের পরে সংবাদ সম্মেলনে পুতিন ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ ‘ব্যর্থ’ হওয়ার এই দাবি করেন।

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ইউক্রেনের পাল্টা হামলা ব্যর্থ হয়েছে। পরিস্থিতি এরকমই থাকবে।’

সম্প্রতি রাশিয়ার অভেদ্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে ইউক্রেনের সেনারা প্রবেশে করেছে বলে দাবি করেন দেশটির জেনারেলরা। রাশিয়ার দখল থেকে উদ্ধার করা এলাকার আয়তন ছোট হলেও একে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করেছেন কর্মকর্তারা।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর উপদেষ্টা ইউরি শাক জানান, সৈন্যরা রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যূহ ভেদ করেছে। এটা সত্যি। অল্প অল্প করে হলেও আমরা সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

দক্ষিণাঞ্চলের যুদ্ধক্ষেত্রে দায়িত্বরত শীর্ষ জেনারেলদের একজন ওলেকসান্ডার তার্নাভাস্কি ব্রিটেনের অবজারভার পত্রিকাকে বলেন, আমরা এখন রাশিয়ার প্রথম আর দ্বিতীয় প্রতিরক্ষা লাইনের ভেতরে রয়েছি।

ইউক্রেনের শুরু করা পাল্টা আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে জাপোরিশার প্রায় ৫৬ মাইল দূরের একটি ছোট গ্রামের আশপাশের এলাকা। এক সপ্তাহ আগে ওই গ্রাম পুনরুদ্ধার করার পর পতাকা টাঙিয়ে দিয়েছিল ইউক্রেনের সেনারা। এখন তারা সেখানকার নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছে, যাতে রাশিয়ার গোলাগুলির মধ্যে না পড়ে আরও বেশি সৈন্য আর সাঁজোয়া যানগুলো চলাচল করতে পারে।

সেটা করা সম্ভব হলে ইউক্রেনের সৈন্যরা দ্বিতীয় আর তৃতীয় প্রতিরক্ষা লাইনের ভেতরে অবস্থান নিতে পারবে। তবে প্রথম প্রতিরক্ষা লাইন ভেদ করার মতো এটা সহজ হবে না।

ইউক্রেনের আরও কয়েকটি এলাকাতেও লড়াই চলছে, যদিও সেসব এলাকায় অগ্রগতির হার কম। কারণ, এসব যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার বসানো মাইন, ট্যাঙ্ক বাহিনী, পরিখার মতো নানা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। যুদ্ধবিমানের সহায়তা ছাড়া আর রাশিয়ার গোলার মুখে ইউক্রেনের ছোট ছোট ইউনিটগুলো এসব প্রতিকূলতা মোকাবিলা ক্ষেত্র তৈরির চেষ্টা করছে, যাতে আরও বড় ধরনের হামলা চালানো যায়।

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *