ইসরাইল নতুন মারণাস্ত্র ব্যবহার করছে গাজায়

আন্তর্জাতিক

সুবর্ণবাঙলা ডেস্ক

গাজাকে ধ্বংসের নেশায় মত্ত ইসরাইল। কোনো পথই বাদ রাখছে না গাজা ধ্বংসে। মানছে না আইনের সীমাও। ভয়ংকর সব অস্ত্র ব্যবহার করে ফিলিস্তিনি নিধনে।

আগের মতো এবারও গাজা নির্মূলে মরণাস্ত্র ব্যবহার করছে ইসরাইল। তবে এবারেরটা একেবারেই নতুন। ভিন্ন ধরনের। আয়রন স্টিং। রকেট লঞ্চার ধ্বংসে ব্যবহার করা হয়।

রোববার, ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) শক্তিশালী মর্টার বোমা ‘আয়রন স্টিং’ উৎক্ষেপণের ফুটেজ প্রকাশ করেছে।
ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে পোস্ট করা হয়। ফুটেজে দেখা যায়, হামাসের রকেট লঞ্চার ধ্বংসে এটি ব্যবহার করা হয়েছে। উচ্চপ্রযুক্তির এ অস্ত্রটি ২০২১ সালের মার্চে উন্মোচন করা হয়েছিল।

সম্প্রতি ইসরাইলের ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে এর দেখা মেলে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী এবং ইসরাইলি বিমানবাহিনী একযোগে অস্ত্রটি ব্যবহার করেছিল।

আয়রন স্টিং একটি উদ্ভাবনী ও নির্ভুল মর্টার বোমা। এটি ৯০ শতাংশ নির্ভুলতার সঙ্গে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। অস্ত্র সিস্টেমটি মাত্র ১৫ সেকেন্ডে লোড করা যেতে পারে। প্রতি মিনিটে ১৬ রাউন্ড ফায়ার করতে পারে। এর শক্তিশালী ওয়ারহেড ১২ কিমি. দূরে ডাবল রিইনফোর্সড কংক্রিট ভেদ করতে পারে।

ইসরাইলের সামরিক ও প্রতিরক্ষা ইলেকট্রনিক্স নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এলবিট সিস্টেমস যারা সিস্টেমটি তৈরি করেছে, বলেছে, সিস্টেমটি ঘন, শহুরে পরিবেশে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার জন্য সুনির্দিষ্ট, লেজার এবং জিপিএস নির্দেশিত মর্টার যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করে যা ক্ষতির সম্ভাবনা হ্রাস করে।

কোম্পানিটি ২০২১ সালে এ কথা বলে। তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ বলেছিলেন, আয়রন স্টিং আইডিএফের চাহিদাও পূরণ করতে বেসামরিক ও শহুরে পরিবেশের মধ্যে লুকিয়ে থাকা শত্রুদের সঙ্গে লড়াই করার জন্য যুদ্ধের ক্ষমতাকে খাপ খাইয়ে নিতে সহায়তা করে।

এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রোববার বলেছে, ইসরাইলের নতুন অস্ত্র ব্যবহারের ফলে মানুষের শরীর মারাত্মকভাবে পুড়ে যাচ্ছে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, চিকিৎসাকর্মীরা ইসরাইলের নতুন অস্ত্রের ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করেছেন যা শহিদ ও আহতদের দেহকে পুড়িয়ে ফেলছে। ইসরাইল এখন পর্যন্ত বিবৃতি সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি।

একটি পৃথক বিবৃতিতে, আল-কুদরা গুরুতর জটিলতা সম্পর্কে সতর্ক করে বলেছেন, গাজার হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে জ্বালানি সরবরাহ না করা হলে আরও হাজার হাজার রোগী মারা যাবে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী অনবরত বিমান হামলা চালিয়ে গাজাকে লক্ষ্যবস্তু করে চলেছে যা সমগ্র এলাকা ধ্বংস করেছে। নিহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *