মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের বিবৃতি
সুবর্ণবাঙলা অনলাইন ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা রোধে সরকারকে সর্বোচ্চ সংযম ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার। বিবৃতিতে বলা হয়, এই সংকটময় সময়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা রোধে সরকারকে অবশ্যই সর্বোচ্চ সংযম অবলম্বন করতে হবে। নির্বাচনের আগে এবং পরে বাংলাদেশিদের মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের কার্যালয় ওয়েবসাইটে এ নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে।
সহিংসতা উস্কে দিতে এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে রাজনৈতিক নেতাদের বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, দেশ যখন নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে, আমরা সমস্ত রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাই যে এই ধরনের সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য এবং সহিংসতাকে উস্কানি দিতে পারে এমন কোনও বিবৃতি বা কাজ এড়িয়ে চলার জন্য। বাংলাদেশ যখন নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে তখন আমরা সকল রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই যে, এ ধরনের সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য। আমরা তাদেরকে সহিংসতায় উস্কানি সৃষ্টি করতে পারে এমন বিবৃতি প্রদান বা কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই।
বাংলাদেশে চলমান বিক্ষোভে সহিংসতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়, এই সহিংসতায় বেশ কয়েকজন মানুষ নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে পুলিশ সদস্য, পথচারী ও বিরোধী দলের কর্মীরা রয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, গত ২৮শে অক্টোবর বিরোধী দলের বিক্ষোভকারীরা প্রধান বিচারপতিসহ অন্য কয়েকজন বিচারকদের বাসভবনে হামলা চালিয়েছে । প্রায় ৩০ জন সাংবাদিক বিক্ষোভকারী ও মোটরসাইকেলে চড়ে আসা মুখোশধারী ব্যক্তিদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই হামলাকারীরা ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক ছিলেন।
পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ বলেছে, বাংলাদেশে চলমান বিরোধী দলের বিক্ষোভের জবাবে পুলিশ রড, লাঠিসোটা, রাবার বুলেট এবং সাউন্ড গ্রেনেড নিয়ে পাল্টা হামলা করেছে। তারা সারাদেশে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বাড়িতেও অভিযান চালিয়েছে এবং নির্বিচারে নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যসহ শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার ও আটক করেছে।
খুব বেশি প্রয়োজন হলে নিরপেক্ষ, সতর্কতা ও আইনের মধ্যে থেকে যেন বলপ্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে বিবৃতিতে বলা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত ৩০শে অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে কথিত অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিরোধীদলীয় নেতা এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করে ‘বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে’ অভিযুক্ত করা হয়। তিনি এখনও বন্দী রয়েছেন। গ্রেপ্তারের ভয়ে আরও বেশ কয়েকজন সিনিয়র বিরোধী নেতা আত্মগোপনে চলে গেছেন বলে জানা গেছে।