পাপনের বার্ষিক আয় সাড়ে ৮ কোটি টাকা সোহেলের ৪ লাখ

জাতীয় রাজনীতি

সুবর্ণবাঙলা ডেস্ক

কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে এবারের নির্বাচনে হলফনামা অনুযায়ী আওয়ামী লীগের চতুর্থবারের প্রার্থী নাজমুল হাসান পাপনের বার্ষিক আয় আট কোটি ৫৩ লাখ ৬২ হাজার ৪৮৮ টাকা এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী নুরুল কাদের সোহেলের বার্ষিক আয় চার লাখ টাকা।

নাজমুল হাসান পাপনের আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনের হলফনামায় আরও দেখা গেছে, তার বার্ষিক ব্যয়ের পরিমাণ তিন কোটি ৭৬ লাখ ৭০ হাজার ৫৬৫ টাকা। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি বার্ষিক আয় দেখিয়েছিলেন পাঁচ কোটি চার লাখ ৪৮ হাজার ৯৫১ টাকা এবং ব্যয় দেখিয়েছেন দুই কোটি ৩৮ লাখ ৩১ হাজার ৩৩৭ টাকা। এবার তার বার্ষিক আয় ৫৮ গুণ বেড়েছে। পেশা হিসাবে লিখেছেন তিনি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যাল লি. কোম্পানিতে চাকরি করেন। তার বেতন থেকে বার্ষিক আয় সাত কোটি ৬২ লাখ এক হাজার ৯৯ টাকা এবং সংসদ-সদস্য হিসাবে সম্মানি ভাতা পেয়েছেন ৫২ লাখ ৩৪ হাজার ১৬০ টাকা। তিনি তার সম্পদ থেকে ভাড়া বাবদ আয় করেন ২১ লাখ ৩০ হাজার ২৭৫ টাকা। সিকিউরিটি বন্ড, ব্যাংকে আমানতসহ অন্যান্যতে আছে ৩৩ কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার ৩১৪ টাকা এবং সঞ্চয়পত্র আছে চার লাখ ৯৬ হাজার ৮০০ টাকা। নগদ ও ব্যাংকে জমা আছে ২৬ কোটি ৫৭ লাখ ৬৪ হাজার ১৯৯ টাকা। বন্ড ও অন্যান্যতে আছে দুই কোটি ৫৯ লাখ ৩৬ হাজার ২৩৯ টাকা। তার স্ত্রী রোকসানা সুলতানার নগদ আছে এক কোটি চার লাখ ৩২ হাজার ২০০ টাকা এবং ব্যাংকে জমা আছে এক কোটি ৬৬ লাখ ৯০ হাজার ২৭৭ টাকা। পোস্টাল ও সেভিংসে আছে তার এক কোটি টাকা ও স্ত্রীর আছে এক কোটি টাকা। পরিবারে স্বর্ণ আছে ৫০০ ভরি, যার মূল্য তিনি জানেন না। সব স্বর্ণ উপহার পাওয়া। অ্যাপার্টমেন্ট আছে পাঁচটি, এর মধ্য চারটি পৈতৃক ও একটি কেনা-যার মূল্য ৮৭ লাখ ২৬ হাজার ৫০০ টাকা। স্ত্রীর নামে এক কোটি ৩৯ লাখ চার হাজার টাকার একটি অ্যাপার্টমেন্ট আছে।
গাজীপুরের শ্রীপুরে তার ২৬৯.৭৫ শতাংশ জমি ও ৩৫.৭৮ কাঠা জায়গা আছে যার মূল্য চার কোটি ৩২ লাখ আট হাজার ৩৪৫ টাকা। এছাড়া টিভি, ফ্রিজ, এসিসহ আসবাবপত্র আছে একাধিক- যার মূল্য ১১ লাখ ২০ হাজার টাকা। তার নামে বিমা আছে ৯৬ লাখ তিন হাজার ২৩ টাকা এবং স্ত্রীর নামে বিমা আছে সাত লাখ ৯৫ হাজার টাকা। পাপন এমবিএ পাশ।

অপরদিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নুরুল কাদের সোহেল হলফনামায় বার্ষিক আয় চার লাখ টাকা উল্লেখ করে লিখেছেন, তার নিট সম্পদের পরিমাণ ১৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে তিন লাখ টাকার ইলেকট্রিক সামগ্রী ও আসবাবপত্র আছে তার। তিনি এইচএসসি পাশ।

এছাড়া বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির প্রার্থী হেলাল উদ্দিনের বার্ষিক আয় সাত লাখ ৩৭ হাজার ৬৭৫ টাকা এবং বার্ষিক ব্যয় পাঁচ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তার সম্পদের পরিমাণ দুই কোটি সাত লাখ ৪১ হাজার ৮৫০ টাকা। অন্যদিকে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট প্রার্থী রুবেল হোসেনের বার্ষিক আয় চার লাখ ৩০ হাজার ৪০৯ টাকা এবং ব্যয় দুই লাখ ১০ হাজার টাকা। তিনি লেখাপড়ায় স্বশিক্ষিত উল্লেখ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *