পেঁয়াজের প্যাঁচে ঝাঁঝ: ব্যবসায়ী-আমলা ঐক্যজোট, জনগনের পকেট লুট!!

অর্থ ও বাণিজ্য খোলা কলাম জাতীয়

সুবর্ণবাঙলা ডেস্ক

আমাদের দেশে ভোগ্য পন্যের দাম বাড়ার শুরু পিঁয়াজের দাম বাড়ার মধ্য দিয়ে। প্রতিবারই এই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যটি  সমাজের কোমর বাঁকা মানুষদের একবোরে ধনুক বানিয়ে দিয়েযায়। তবুও এর ঝাঁঝের কোনো ব্যাত্যয় হয় না।বিশেষজ্ঞ দের মতে- দেশে এখনো প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে। দেশে ২০২১-২২ অর্থবছরের পেয়াজের উৎপাদন হয়েছিল ৩৬ লাখ ৪০০ মেট্রিক টন, চাহিদা ছিল ৩০ লাখ ৬৫ হাজার মেট্রিক টন এবং আমদানি করা হয়েছিল ৬ লাখ ৬৫ হাজার মেট্রিক টন। (উৎপাদিত পেঁয়াজের একট বড় অংশ নষ্ট হয়ে যায়।) এবছর ও যে ঘাটতি রয়েছে তার চাহিদানুসারে আমদানীর প্রস্তুতি নিশ্চয়ই আছে ? এবছরের মোট ঘাটতির কি পরমিান আমদানি  হয়েছে এবং আর কি পরমিান আমদানী করতে হবে? সে হিসাব কি ভোক্তা অধিকার বা সংশ্লিষ্টদের জানা আছে? আরেকটা প্রশ্ন- দেশে কি প্রতিদিনের চাহিদার পরিমণে পেঁয়াজ ভারত হতে দেশে আসতো? ভারতের পেঁয়াজ রপ্তান্তি বন্ধ করার খবর শুনার সাথে সাথে কিভাবে দাম বাড়ে? দাম কমার সময়তো এক সপ্তাহেও কমেনা? তখন তথাকথিত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষকরা কোথায় থাকেন? মাংসের দাম কমলে, দাম নির্ধানের জন্যে মিটিংয়ে বসেন(?) ডিমের মূল্য নির্ধারণ করে দেন বার টাকা! এখন যে, ডিম খুচরা বিক্রি হচ্ছে দশ টাকায়, এখন তাদের লাভ হচ্ছে না ?  আমলাদের মুখ যতোই রাম গরুড়ের ছানার মতো হোক তারা, আসলে কোন পক্ষ জনগন বুঝে! আমি একজন ডিম হকারকে (মাথায় খাচি নিয়ে দোকানে দোকানে ডিম সাপ্লাই করতো তো) জানি। সে ডিম কারসাজির পরে ব্যবসার লাভ দিয়ে, দিন কয়েক আগে ফ্ল্যাট কিনেছে। কাজীদের মতো পাজিরা এই সব ডিম হকারদের দোকানে দোকনে তখন পিকাপ ভরে ডিম মজুদ করতে পাঠাতো! এখনো পাঠায়। তবে, ওদের স্ব স্ব হিস্যা ফিক্সড হয়েগেছে। আপনাদের বদৌলতে চল্লিশের নিচে আর নামছে না। এটা নিশ্চিত এখন! পেঁযাজ আমদানি কারক কতজন? পিঁয়াজের এজন্য এলসির সব টাকায় তারা কি শুধু পেয়াজই আনেন না, আরও অন্য কিছু আনেন? পেঁয়াজের বাজারে কি ঘাটতি পড়ে গেছে? কিভাবে একদিনে পিঁয়াজের মূল্য বাজারে দ্বিগুণ হ’ল জনগণকে বুঝিয়ে বলুন!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *