গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ঐতিহাসিক দায়িত্ব’ রয়েছে: এরদোগান

আন্তর্জাতিক

অনলাইন ডেস্ক

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ঐতিহাসিক দায়িত্ব’ রয়েছে। এ সংঘাত দীর্ঘায়িত হওয়ার ফলে নেতিবাচক আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিণতি সৃষ্টি হতে পারে।

শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপে প্রেসিডেন্ট এরদোগান এ মন্তব্য করেন। গত ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার পর এদিনই প্রথম ফোনে কথা বলেন উভয় নেতা।

বাইডেনের সঙ্গে ফোন কলের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্সি এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেছেন-ইসরিাইলি হামলার তীব্রতা বৃদ্ধি এবং সংঘাত দীর্ঘায়িত হওয়ার ফলে নেতিবাচক আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিণতি সৃষ্টি হতে পারে।

বিবৃতিতে, ইসরাইলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিঃশর্ত সমর্থন প্রত্যাহার হলেই তা দ্রুত যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা দিতে পারে।

এএফপি বলেছে, গাজায় ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসনের বিষয়ে মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে সোচ্চার সমালোচকদের একজন হচ্ছেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। তিনি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে ‘গাজার কসাই’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং ইসরাইলকে ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ হিসেবে আ্যখায়িত করেছেন।

বাইডেনের সঙ্গে ফোন কলে প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই অঞ্চলে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব রয়েছে।

হামাসের সঙ্গে সংঘাতের শুরু থেকেই প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইসরাইলকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে চলেছেন। কিন্তু গত মঙ্গলবার তিনি বলেছেন, গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালিয়ে বিশ্বব্যাপী সমর্থন হারাচ্ছে ইসরাইল।

মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্টের মন্তব্যকে ইসরাইলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত তার সবচেয়ে কঠোর সমালোচনা বলে মনে করা হচ্ছে।

এছাড়া গাজা উপত্যকায় বেসামরিক হতাহতের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে তার উদ্বেগের কথা জানিয়েছে বলে বুধবার জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। আর বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস বলেছে, তারা ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব’ এই যুদ্ধ শেষ করতে চায়।

তবে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, গাজায় তাদের যুদ্ধ চলতে পারে আরও কয়েক মাস। যদিও গাজার ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে এই সপ্তাহেই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে জাতিসংঘ।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরপর থেকে টানা দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরাইল। ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত হয়েছেন ১৮ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *