সুবর্ণবাঙলা প্রতিবেদন
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে কিনা সেটি নির্বাচনের পর দেখা যাবে। সোমবার নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, গ্রহণযোগ্যতা পাবে কিনা সেই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না। সেটি নির্বাচনের পর দেখা যাবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, জাপান পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে। তাদের কিছু সদস্য আসবেন জাপান থেকে, আর বাকিরা বাংলাদেশে জাপান অ্যাম্বাসি থেকে আসবে। ওরা আমাদের নির্বাচনটাকে খুব গুরুত্ব দিচ্ছে। সেজন্য ওরা অবজার্ভ করতে চাচ্ছেন। আমরা তাদেরকে ধন্যবাদ দিয়েছি। তারা আরও বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। আমরা তাদেরকে নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে সর্বশেষ অবস্থা জানিয়েছি।
বিএনপি অংশ নিলে দেশের উপকার হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন- এখন কী মনে করছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, যেটা আগেও বলেছি, তারা অংশ নিলে নির্বাচনটা অনেক বেশি অংশগ্রহণমূলক হতো। অংশগ্রহণ হলে ভালো হতো, এটা সকলেই ফিল করে।
ভোটে আন্তর্জাতিক চাপ এসেছে বলেছিলেন, সেটা কি কাটিয়ে ওঠেছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাজারে একটা শব্দ চাপ, চাপ, চাপ। আপনি বাহিরের থাবার কথা বলেছিলেন- যেটা হলো সব দেশ আমাদের নির্বাচনের খোঁজখবর নিচ্ছে।
আমাদের ডোনার দেশগুলো দেখতে চাচ্ছে নির্বাচন। সেটাকে চাপ বলেন বা সেনসেটাইজেশন বলেন, ওরা সমস্ত দৌড়ঝাঁপগুলো করছে। আমরা দেখেছি। যার ফলে সরকারও বারবার বলেছে নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে। আমাদের তরফেও বলেছি, নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু হবে। বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটিতে একটা মেম্বার এবং কমিটি অফ নেশনসে আমরা সদস্য। আন্তর্জাতিকভাবেও নির্বাচনটা সুন্দর হোক, স্বচ্ছ হোক, সকলের কাছে বহির্বিশ্বের কাছেও নির্বাচনটা একটা ভালো গ্রহণযোগ্যতা পাক, সেই প্রত্যাশা সকলের মধ্যে; আমাদেরও আছে। আমরা আমাদের দিক থেকে ফ্রি, ফেয়ার এবং পিসফুল নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য জোর দিচ্ছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অস্বস্তি বা স্বস্তি কোনটিই আমার মধ্যে নেই। আমার দায়িত্বটা হচ্ছে আমাদের নির্বাচনটা যেভাবে করতে হয় আমরা নির্বাচন কমিশন সরকারের সহায়তা নিয়ে অর্থাৎ পুলিশ, প্রশাসন সকলের সহায়তা নিয়ে নির্বাচনটা করতে চাচ্ছি। আমার ব্যক্তিগত স্বস্তি, অস্বস্তিটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে এটা ঠিক যে, নির্বাচনের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ দল তারা অংশগ্রহণ করছে না। অংশগ্রহণ করলে ভালো হতো। আপনারা জানেন যে আমরা প্রথম থেকেই তাদেরকে আহ্বান জানিয়েছিলাম যে আপনারা অংশগ্রহণ করুন, আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। তারা সাড়া দেননি।
যারা নির্বাচনে আসছে না তারা তো প্রতিরোধেরও ঘোষণা দিয়েছে? বিষয়টি নজরে আনা হলে তিনি বলেন, দেখা যাক, সেটা উনাদের ব্যাপার, পলিটিক্যালি স্ট্র্যাটিজি। সেটার ব্যাপারে আমরা কোনো বক্তব্য দেব না। আমরা চাইবো ইলেকশনটা পিসফুলি হোক।
জাপানের কোনো পরামর্শ ছিল কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, না, এ ব্যাপারে জাপানের কোনো পরামর্শ ছিল না।