সুবর্ণবাঙলা অনলাইন ডেস্ক
ছবি: রয়টার্স
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে ইন্টান্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) মামলা করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটির দায়ের করা মামলা সাপেক্ষে গাজায় গণহত্যা ঠেকাতে সবরকমের ব্যবস্থা নিতে শুক্রবার নির্দেশ দিয়েছে আইসিজে। কিন্তু কোনোরকম যুদ্ধবিরতির নির্দেশ দেয়নি জাতিসংঘের এই বিচারিক আদালত।
আইসিজে শুক্রবার ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যার ক্রিয়াকলাপ প্রতিরোধ ও বেসামরিকদের সাহায্য করার জন্য আরও কিছু করার নির্দেশ দিয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা চলতি মাসের শুরুর দিকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা দায়ের করে। আবেদনে দেশটি যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করতেও বলেছিল। ইসরায়েল-গাজা সংঘাতে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ২৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
ইসরায়েল রাষ্ট্রের নেতৃত্বে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ এনেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ইসরায়েল চেয়েছিল মামলাটি বাতিল করতে।
শুক্রবারের রায়ে বিচারকরা বলেছেন, ইসরায়েলকে অবশ্যই তার সেনাদের গণহত্যা থেকে বিরত রাখতে তার ক্ষমতার মধ্যে সব ব্যবস্থা নিতে হবে, শাস্তি দিতে হবে এবং মানবিক পরিস্থিতি ভালো করার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।
আইসিজে যুদ্ধবিরতির আদেশ না দিলেও বলেছে, তারা গণহত্যার মামলা এড়িয়ে যাবে না। ফিলিস্তিনিরা ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশনের অধীনে একটি সুরক্ষিত গোষ্ঠী হিসেবেই বিবেচিত। তবে গণহত্যার অভিযোগের মাপকাঠি নির্ধারণ করেনি আইসিজে।
দক্ষিণ আফ্রিকার অভিযোগকে মিথ্যা ও চরমভাবে বিকৃত বলে অভিহিত করেছে ইসরায়েল। পাশাপাশি তারা বেসামরিক হতাহতের ঘটনা এড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে বলেও জানিয়েছে।
এদিকে হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি রয়টার্সকে বলেছেন, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের সিদ্ধান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি যা ইসরায়েলকে বিচ্ছিন্ন করতে ও গাজায় তাদের অপরাধ উন্মোচনে অবদান রাখে।
তিনি বলেন, আমরা আদালতের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দখলদারিত্বকে (ইসরায়েলকে) চাপে রাখার আহ্বান জানাই।