তিন প্রতিবন্ধী সন্তানের বাবাকে খুন, দুই পুলিশ প্রত্যাহার

আইন আদালত মফস্বল

সিঙ্গাইর (মানিকগঞ্জ) সংবাদদাতা

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে তিন প্রতিবন্ধী সন্তানের বাবা কুদ্দুস মিয়া (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বাঁশের ব্যবসায়ী নিহত কুদ্দুস উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের আটিপাড়া গ্রামের মৃত মিনহাজ উদ্দিনের ছেলে।

এর আগে ঐ দিন সকালে পুলিশের উপস্থিতিতে সিংগাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের সিরাজপুরে দু’গ্রুপের মধ্যে কয়েক দফা হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও ৫ জন আহত হয়।

এদিকে দায়িত্ব অবহেলার কারণে শান্তিপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে এসআই আব্দুস সালাম ও এএসআই আজিজুলকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে যুক্ত করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে ও হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকাল ৭টার দিকে সিরাজপুর হাটের উত্তর পাশে আবু কালামের নেতৃত্বে মিলন, জুবায়ের, আব্দুল আলীম, রাসেল, জব্বার, হারুনসহ ১০-১৫ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষ শাহিনুর ও ফারুকের ওপর হামলা করে। এরপর স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে শান্তিপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আব্দুস সালাম মিয়া সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় দফায় আটিপাড়া মসজিদের সামনের পাকা রাস্তায় ব্যবসায়ী কুদ্দুসের উপর আবারও হামলা করে। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুদ্দুস মিয়া মৃত্যু বরণ করেন।

নিহতের বোন জাবেদা অভিযোগ করে বলেন, পুলিশের সামনেই আমার ভাইকে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। তাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্রও ছিল। পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশ ব্যবস্থা নিলে আমার ভাই মারা যেত না।

সিঙ্গাইর থানার ওসি জিয়ারুল ইসলাম বলেন, পুলিশের দায়িত্ব পালনে কোনো অবহেলা ছিল না। যেহেতু, নিহতের স্বজনরা দুই পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে, তাই তাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়ায় যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার তাই নেওয়া হবে। হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ১ জনকে আটক করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *