অনলাইন ডেস্ক
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ছবি : সংগৃহীত
ক্ষমতা থেকে উৎখাতের পর নানা আইনি জটিলতার মধ্য দিয়ে সময় পার করছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। নির্বাচনে তাকে আটকাতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখা হয়নি। এমনকি তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) দলীয় প্রতীক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এরপরও পিটিআই মনোনীত প্রার্থীরা সর্বোচ্চ আসন পেয়েছেন। এবার ফের ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে দাবি করেছেন তার দলের এক নেতা। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পিটিআইয়ের সিনেটর ফয়সাল জাভেদ বলেন, ইমরান খান মিয়ানওয়ালি থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আর আল্লাহর কৃপায় তিনি আবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হবেন।
জিও নিউজের এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে দেশটির ইতিহাসে অভূতপূর্ব ভোটার উপস্থিতি দেখা গিয়েছে।
পিটিআইয়ের এ নেতা গত বছরের ৯ মের সহিংসতা ও ধড়পাকড়ের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন। এরপর পেশোয়ার হাইকোর্টে শুনানি চলাকালে আজ তিনি জনসম্মুখে আসলেন।
এর আগে পিটিআইয়ের বর্তমান চেয়ারম্যান গওহর আলি খান বলেন, পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের যারা জাতীয় পরিষদ এবং খাইবার পাখতুনখাওয়াও পাঞ্জাবে নির্বাচিত হয়েছেন তারা নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন। এসব প্রার্থী সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের হয়ে পার্লামেন্টে যাবেন।
তিনি বলেন, আমাদের প্রার্থীরা পরস্পরের সম্মতিতে তাদের হলফনামা জমা দিয়েছেন। আজ আমরা ঘোষণা দিচ্ছি, পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলে যোগ দিচ্ছেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রথম, পিএমএল-এন দ্বিতীয় ও পিপিপি তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। তবে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। ফলে জোট গঠন করে সরকার আসার চেষ্টা করছে বড় দলগুলো। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছার কথা জানিয়েছে পিএমএল-এন ও পিপিপি।
এর আগে গত রোববার ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পিটিআই মনোনীত প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ওমর আইয়ুব খান বলেন, পিপিপি ও পিএমএল-এন ৪০টি আসনও জিততে পারেনি। তাদের এবং অন্য সবাইকে জনগণের কথা শুনতে হবে। দেশের জনগণ ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছে এবং তারা সুন্দর পাকিস্তান চায়। বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ও নওয়াজ শরিফ নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লিগের (পিএমএল-এন) গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ঘটে যাওয়া জালিয়াতির প্রধান সুবিধাভোগী বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।