দৌলতদিয়ায় লঞ্চ-ফেরিতে উপচে পড়া ভিড়, নেই ভোগান্তি

পরিবহণ-পর্যটন ও যোগাযোগ বন্দর

সুবর্ণবাঙলা প্রতিনিধি

স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ও আশপাশ এলাকার অসংখ্য মানুষ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুট দিয়ে বাড়ি ফিরছেন। এতে করে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি লঞ্চ ও ফেরিতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে।

পদ্মা সেতু চালুর পর থেকেই এই নৌপথে যানবাহনের সংখ্যা কমেছে অর্ধেকের বেশি। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ।

প্রতিটি ফেরিতে বড় যানবাহনের সঙ্গে ছোট ছোট যানবাহন ও মোটরসাইকেল ছিল চোখে পড়ার মতো।

তবে উল্লেখযোগ্য কোনো ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রীরা দৌলতদিয়া ঘাট থেকে নিজ নিজ গন্তব্যে ছেড়ে যাচ্ছেন।

এদিকে যাত্রীদের বাড়তি চাপ সামাল দেয়ার জন্য দৌলতদিয়া ঘাটে নিয়মিত কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর জেলার দুটি কাউন্টারের পাশাপাশি অতিরিক্ত ৯টি কাউন্টার স্থাপন করা হয়েছে। বরিশাল, যশোর, গোপালগঞ্জ, ঝিনাইদহসহ অন্যান্য জেলার এসব কাউন্টারে নির্দিষ্ট ভাড়ার বড় চার্ট টানিয়ে দেওয়ার কথা বলেছে প্রশাসন। বলেছে কাউন্টার সংশ্লিষ্টদের নির্দিষ্ট পোশাক ব্যাবহারের। কিন্তু কিছু কিছু কাউন্টার হতে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ ওঠে। ড্রেসকোডও মানেননি কেউ।

এদিকে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট পরিদর্শন করেন রাজবাড়ী জেলা পুলিশ সুপার জিএম আবুল কালাম আজাদ। এ সময় তিনি লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট ঘুরে দেখেন ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় কয়েকজন বাসযাত্রী তার কাছে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করলে তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করে নিয়মানুযায়ী ভাড়া আদায়ের নির্দেশ দেন।

পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের বলেন, ঘাট এলাকায় যাত্রীরা যাতে কোনো ভোগান্তির শিকার না হন সে জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ হতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জোরদার করা হয়েছ যাত্রী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ছাড়াও খোলা হয়েছে পুলিশ কন্ট্রোল রুম।

বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন জানান, ঈদে ঘরমুখো মানুষের নির্বিঘ্নে নদী পারাপারের জন্য পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ছোট-বড় মোট ১৭টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ চলাচল করছে।

যশোরগামী যাত্রী পোশাক শ্রমিক হালিমন নেছা বলেন, সকালে গাজীপুর থেকে রওনা দিয়ে পাটুরিয়া ঘাটে এসে নদী পার হয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে এসেছি। গত ঈদে একটু ঝামেলা হলেও এবার কোনো ভোগান্তি বা ঝামেলা হয়নি। বাবা, মায়ের সঙ্গে এবার ঈদ উদযাপন করব।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালাহউদ্দিন জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ১৭টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ঘাটে পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় কোনো ভোগান্তি ছাড়াই যানবাহন ও যাত্রীরা ঘাটে নেমে তাদের সঠিক গন্তব্যে যেতে পারছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *