ইরান-ইসরাইল সংঘাতের পরিণতি কোন দিকে

আন্তর্জাতিক

বিবিসি

ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান সংঘাতের পরিণতি কী হতে পারে, তা এখন অনেকটাই নির্ভর করছে ইসরাইল ঠিক কিভাবে শনিবার রাতে চালানো হামলার জবাব দেয়, তার ওপর। এমন মন্তব্য করেছেন বিবিসির নিরাপত্তা সংবাদদাতা ফ্র্যাঙ্ক গার্ডনার। তার মতে, মধ্যপ্রাচ্যে ও বিশ্বের অন্যত্রও বহু দেশই কিন্তু এ পরিস্থিতিতে সংযম দেখানোর আহ্বান জানাচ্ছে।

এর মধ্যে এমন অনেক দেশও আছে, যারা ইরানের সরকারকে ঘোরতর অপছন্দ করে; কিন্তু এখন তারাও চাচ্ছে ইসরাইল যেন নতুন করে এই হামলার জবাব দিতে না যায়। অন্যদিকে ইরানের মনোভাবটা অনেকটা এই ধরনের- ‘অ্যাকাউন্ট সেটলড– মানে শোধ হয়ে গেছে। বিষয়টার এখানেই ইতি টানলেই ভালো। তবে হ্যাঁ, যদি আবার আমাদের বিরুদ্ধে পাল্টা আঘাত হানতে যাও, সেক্ষেত্রে আমরা কিন্তু অনেক বেশি শক্তিশালী হামলা চালাব, যেটা প্রতিহত করা তোমাদের সাধ্যে কুলাবে না– ইরানের মানসিকতা ব্যাখ্যা করে এভাবে জানাচ্ছেন ফ্র্যাঙ্ক গার্ডনার।

গার্ডনার মনে করেন, ইসরাইলের ‘ওয়ার কেবিনেট’ বা যুদ্ধসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা ইরানের এই প্রত্যক্ষ হামলার কোনো জবাব না দিয়ে হাত গুটিয়ে থাকবে- এই সম্ভাবনা আসলে খুব ক্ষীণ। তাহলে ইসরাইলের সামনে এখন কী কী রাস্তা খোলা আছে।

প্রথমত, হতে পারে, তারা ওই অঞ্চলে তাদের প্রতিবেশীদের কথায় আমল দেবে এবং একটা ‘স্ট্র্যাটেজিক পেশেন্স’ বা ‘কৌশলগত ধৈর্য প্রদর্শনের’ রাস্তায় হাঁটবে।

দ্বিতীয়ত, ইরান যে ধরনের হামলা চালিয়েছে ইসরাইলও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পাল্টা ঠিক সেই ধরনের ‘সাবধানে ও মেপে মেপে’ হামলা চালাতে পারে, যার নির্দিষ্ট লক্ষ্য হবে ইরানের সেই মিসাইল ঘাঁটিগুলো, যেখান থেকে শনিবার রাতের হামলা চালানো হয়েছিল।

তৃতীয় পথ হতে পারে- ইসরাইল যুদ্ধের উত্তেজনা বাড়ানোর চেষ্টায় আরও একধাপ এগিয়ে গেল এবং ইরান যেভাবে হামলা চালিয়েছে, তার চেয়ে অনেক শক্তিশালী পাল্টা হামলা চালাল; কিন্তু ইরান-ইসরাইল সংঘাতের পরিণতি শেষ পর্যন্ত কোন দিকে যায়, তা যেহেতু কোনো একটি পক্ষের ওপর নির্ভর করছে না, তাই আপাতত সারা দুনিয়াকেই পরিস্থিতির ওপর সতর্ক নজর রাখতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *