তীব্র তাপদাহে বাড়ি-বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে শাহরিয়ারের পানি সেবা

অন্যান্য জাতীয়

বাঘা (রাজশাহী) সংবাদদাতা

খরায় পুড়ছে দেশ। সঙ্গে তপ্ত বাতাস। একটু পানির জন্য হাহাকার করছে মানুষ। স্বস্তি নেই প্রাণীকুলে। এই অবস্থায় নিজ অর্থায়নে পানি সরবরাহসহ গভীর নলকূপ বসিয়ে দিচ্ছেন রাজশাহীর চারঘাট-বাঘা থেকে চারবারের নির্বাচিত এমপি ও দুই বারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

সরেজমিন দেখা গেছে, বর্তমানে রাজশাহীর পূর্ব দক্ষিণ সীমানায় অবস্থিত চারঘাট-বাঘার পদ্মা নদী শুকিয়ে খাঁ-খাঁ করছে। অন্য শাখা নদী আড়ানী বড়াল এবং পদ্মার অপর একটি অংশ মুশিদপুর হয়ে ঈশ্বরদী যাওয়ার যে নদী সেটিও একেবারেই মৃত। বর্তমানে খাল-বিলসহ প্রায় নদীতেও মাছের বদলে চাষ হচ্ছে ধান-গম-ভুট্টার মতো ফসল! একদিকে নদীতে পানি নেই, অন্যদিকে বরেন্দ্র অঞ্চলসহ সমতল এলাকার প্রতিটি গ্রামে পানির স্তর ক্রমশই নিচে নামছে। এতে করে মানুষের মাঝে শুরু হয়েছে পানির জন্য হাহাকার।

আর এই হাহাকার প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যকে বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করতে ব্যক্তিগত পরিকল্পনায় চারঘাট-বাঘাবাসীর ভোগান্তী কমাতে গভীর নলকূপ বসানোসহ বড় বড় ভ্যান যোগে মানুষের বাড়ি-বাড়ি পানি পৌছে দিচ্ছেন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি এ বছর সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম সংসদ অধিবেশনে তার এলাকার সমস্যা হিসাবে পানি সংকটের কথা তুলে ধরেন।

অপরদিকে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তার নিজেস্ব আইডি সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছিলেন ‘বাঘা-চারঘাট এলাকায় পানি পেতে সমস্যা হচ্ছে মানুষের। এরপর ও অতিরিক্ত পুকুর খনন করে গভীর নলকূপ বসিয়ে পুকুরে পানি ভরা হচ্ছে। এলাকায় পানিরস্তর দ্রুত নেমে যাওয়ার এটা বড় কারণ বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তার এই পোস্ট দেখে অনেকেই তাদের নিজ-নিজ এলাকায় পানি সংকটের কথা তুলে ধরেন।

বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল বলেন, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম একজন মানবতার ফেরিওয়ালা। সোমবার সারাদিন তার পাঠানো ট্যাংকি করে গ্রামে-গ্রামে পানি সরবরাহ করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। এর অংশ হিসেবে দিনে প্রায় এক লাখ লিটার খাবার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। তীব্র গরম না কমা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *