সুবর্ণবাঙলা প্রতিবেদন
মানিকগঞ্জ পিটিআইয়ের ইনস্ট্রাক্টর রবিউল আউয়ালের বিরুদ্ধে পরকীয়ার কারণে সংসার ভাঙার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার স্ত্রী পাপিয়া আক্তার। শুধুমাত্র তাই নয়, দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি না দেওয়ার কারণে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবে মিলনায়তনে স্বামীর নির্যাতন অন্যায় ও অপকর্মের শাস্তি চেয়ে ন্যায়বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন পাপিয়া আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, দুজনের মধ্যে প্রেমের সূত্র ধরে ২০১৭ সালে বিয়ে করেন। বিয়ের ১০ মাস পর স্বামীর চাকরি হয় পিটিআই ইনস্ট্রাক্টর পদে। এর মধ্যে ২০১৮ সালে তাদের এক কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। স্বামী ফেনীতে যোগদান করেন। বিয়ের দুই বছরের মাথায় ২০২০ সালে এক নারী শিক্ষকের সঙ্গে কেলেঙ্কারির পর পটিয়াতে তার স্বামীকে বদলি করা হয়। পটিয়াতে যাওয়ার পর ওই নারী শিক্ষক (ফেনির ফুলগাজী পশ্চিম বসন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাসলিমা আক্তার) এর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে চালিয়ে যায়।
ওই নারীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক জানার পর তাকে সংশোধনের চেষ্টা করলে স্ত্রীর ওপর অত্যাচার শুরু করে। এর পর তিনি স্বামীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর বিষয়টি তদন্ত করে ওই নারীর কাছ থেকে একটি মুচলেকা নেওয়া হয়, যাতে তারা আর কোনো সম্পর্কে না জড়ান।
এর পর ২০২৩ সালে জুলাই মাসে তার স্বামীকে মানিকগঞ্জ পিটিআইতে বদলি করা হয়। মানিকগঞ্জ আসার পর থেকে তার স্বামী তার ওপর নির্যাতনের মাত্র আরও বাড়িয়ে দেয়। এর মধ্যে তার স্বামী তাকে ২০২৩ সালে নভেম্বর মাসে তালাক দেন। এ ঘটনায় তিনি মানিকগঞ্জ সদর থানায় নারী নির্যাতনের একটি অভিযোগ দেন। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় পুনরায় তাদের মধ্যে বিয়ে হয়। স্বামী ওই নারী শিক্ষককে বিয়ে করবে মর্মে তার কাছে ২০ আগস্ট ২০২২ সালের তারিখ দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে জন্য স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর চান। তিনি ওই স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর না দেওয়ার কারণে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেন। পাশাপাশি তার পরিবারের সদস্যদের মোবাইল ফোনে দ্বিতীয় বিয়ে জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এখন দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি না দেওয়াতে গত মাস থেকে বাসা ভাড়া থেকে শুরু করে সন্তান ও তার কোনো ভরণপোষণ দিচ্ছেন না।
এ ব্যাপারে পিটিআই ইনস্ট্রাক্টর রবিউল আউয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পাপিয়া আক্তার এখন আমার স্ত্রী নয়। সে অবাধ্য হওয়ার কারণে গত মাসে তাকে তালাক দেওয়া হয়েছে।
দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি না দেওয়ার কারণে তালাক দিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন আর দ্বিতীয় বিয়ের প্রয়োজন নেই।