সাউথ ইন্ডিয়ান সিনেমায় কাজ করতে চান শুভ

বিনোদন

বিনোদন ডেস্ক

নতুন প্রজন্মের অভিনেতা সিফাত আমিন শুভ। সহকারী পরিচালক হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন অভিনেতা হিসেবে। কাজ করেছেন একাধিক নাটক ও ওয়েব ফিল্মে।

অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব ও অভিনেত্রী তানজিন তিশার সঙ্গে ‘মেময়ার অব লাভ’ নাটকে ‘জিরাফ’ চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকমহলে বেশ প্রশংসিত হন শুভ। এরপর মিশু সাব্বির ও তাসনুভা তিশার সঙ্গে ‘হাওয়া’ নাটকে কাজ করে নিজের অবস্থান পোক্ত করেন তিনি।

এরই মধ্যে কলকাতা থেকে ডাক আসে এই অভিনেতার। টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র ও দর্শনা বণিকের সঙ্গে ‘কলকাতা ডায়েরিজ’ নামে একটি ওয়েব ফিল্মে কাজ করেন শুভ। যেটি নির্মাণ করেন বাংলাদেশি নির্মাতা রাশেদ রাহা।

সহকারী পরিচালক হিসেবে যাত্রা, এরপর অভিনেতা হিসেবে প্বার্শ চরিত্রে অভিনয় করা, সেখান থেকে সরাসরি শ্রীলেখা মিত্রের মতো একজন অভিনেত্রীর বিপরীতে কাজ করা— শুভর শোবিজ অঙ্গনের পথচলাটা অনেকটাই ‘রোলার কোস্টারের’ মতো। যার সবশেষ সংযোজন দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড শিরোনামহীনের অষ্টম অ্যালবামের দুইটি গানের মডেল হিসেবে এই অভিনেতার আবির্ভাব হওয়া।

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে শিরোনামহীনের ‘বাতিঘর’ নামের অ্যালবামের ‘জানে না কেউ’ গানটি। যেই গানের মডেল ছিলেন সিফাত আমিন শুভ। নাটক, ওয়েব ফিল্মের পর শুভকে নতুনভাবে আবিষ্কার করেছেন দর্শকরা।

কখনো নাটক, কখনো ওয়েব ফিল্ম আবার কখনো গানের মডেল! শুভ নিজেকে কোন প্লাটফর্মে দেখতে বেশি পছন্দ করেন? এই অভিনেতার সহজ উত্তর, ‘ভালো মানের গল্প ও চরিত্রকেই প্রাধান্য দিচ্ছি। সেটা হোক নাটক, ওয়েব ফিল্ম কিংবা গান। আমার কাছে আপাতত প্লাটফর্মের থেকেও চরিত্র বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

শুভ বলেন, ‘হ্যাঁ আমার পথচলাটা একটু ভিন্ন। স্বাভাবিকভাবে আমাদের দেশের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রিতে দেখা যায়, যারা ছোট পর্দায় অভিনয় করছেন তাদের অধিকাংশই নাটক-ওয়েব ফিল্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকছেন। আবার যারা বড় পর্দায় অভিনয় করছেন, তারা কেবল সিনেমা নিয়ে। আমি নিজেকে নির্দিষ্ট কোনো গণ্ডিতে আটকে রাখতে চাইনি। ভালো চরিত্র ও কাজের অপেক্ষা করেছি। যখন যেটা ব্যাটে বলে মিলেছে, সেখানেই নিজেকে প্রমাণের চেষ্টা করেছি।’

টলিউডের ঠোঁটকাটা স্বভাবের অভিনেত্রী বলা হয় শ্রীলেখা মিত্রকে। প্রসেনজিৎ থেকে শুরু করে রজদাভ দত্তের মতো তারকাদের সঙ্গে কাজ করেছেন যিনি। তার মতো একজন অভিনেত্রীর বিপরীতে কাজ কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল? শুভর ভাষায়, ‘খুব কঠিন ছিল এমন নয়। শ্রীলেখাই আমার জন্য সবটা সহজ করে দিয়েছিল। আমাদের বেশ ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছিল। এমনকি শুটিংয়ের সময়, আমাদের নিয়ে আশেপাশে প্রেমের গুঞ্জনও রটেছিল। সেসব শুনে দুজনেই খুব হাসতাম।’

নাটক, ওয়েব ফিল্ম, গানের পর শুভর পরবর্তী লক্ষ্য দক্ষিণী সিনেমা। এই অভিনেতা বলেন, ‘কলকাতায় শ্রীলেখা ও দর্শনা বনিকের সঙ্গে কাজের সময় বেশ কিছু ভালো অফার পেয়েছি। তবে আমার লক্ষ্য দক্ষিণী সিনেমায় কাজ করা। সেখানকার দুই একজন নির্মাতার সঙ্গে কথা হয়েছে। শ্রীলেখার কাছ থেকেও কয়েকজন আমার বিষয়ে জানতে পেরে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাদের সঙ্গে কথা চলছে। আমি চাই, দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বাইরে আরও দারুণ কিছু কাজ উপহার দেওয়া।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *