বঙ্গোপসাগরে দুদিনের মধ্যে লঘুচাপ

জাতীয় পরিবেশ ও জলবায়ু

রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে
স্টাফ রিপোর্টার

আগামী দুদিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে লঘুচাপটি ক্রমে শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলেও মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হলে পরবর্তী সময়ে এটি ক্রমে শক্তিশালী হতে পারে। লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নি¤œচাপ, গভীর নিম্নচাপ এবং শেষে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ‘রেমাল’।

এ নামটি ওমানের দেওয়া। তবে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে কোন স্থান দিয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করবে তা আরও পরে সুস্পষ্টভাবে জানা যাবে। এটির বাংলাদেশের স্থলভাগ অতিক্রমের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
ইতোমধ্যে ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চলতি মাসের শেষের দিকেই পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আছড়ে পড়তে পারে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’।
চার বছর আগে, অর্থাৎ ২০২০ সালের ২০ মে দেশের উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। সে সময় বেশ ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছিল। তবে সুন্দরবনের কারণে রক্ষা পাওয়া গেছে সে যাত্রায়। এবার সেই আমফানের মাসেই ধেয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমালের।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, রেমালও আমফানের মতো বিধ্বংসী হতে পারে। তবে এটির শক্তি কতটুকু; শেষ পর্যন্ত সুপার সাইক্লোনে রূপ নেবে কিনা, তা জানতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে রেমাল। ভারতীয় আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ২০ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। সেটি সোজা উত্তর দিকে শক্তি বৃদ্ধি করবে। ২৪ মে এটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। ২৫ মে সন্ধ্যার পর ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসতে পারে।
এদিকে গত কয়েকদিন আগে পুরো দেশের ওপর দিয়েই মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল। ঝড়-বৃষ্টি বেড়ে যাওয়ায় অনেক স্থান থেকেই দূর হয়েছে তাপপ্রবাহ।
আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানান, পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার (২ দিন) মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী সময়ে এটি ঘনীভূত হতে পারে। তিনি আরও জানান, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে।
রবিবার সকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত সব বিভাগেই কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে সন্দ্বীপে। রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টির প্রবণতা কিছুটা বেশি ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *