‘বাংলাদেশ ২৫ বছরে একটুও এগোয়নি’ – বাংলাদেশের সাবেক কোচ স্টুয়ার্ট ল

খেলাধুলা

স্পোর্টস ডেস্ক


বাংলাদেশের সাবেক কোচ স্টুয়ার্ট ল। ফাইল ছবি

তাঁর কোচিং ক্যারিয়ারের একটা বড় সময় কেটেছে বাংলাদেশে। জাতীয় দলের কোচ ছিলেন ২০১১-১২ সালে। মাঝে বিপিএলে খুলনা টাইটানসকে কোচিং করানোর আগে-পরে বিসিবির পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন, এরপর প্রায় দুই বছর কাজ করেছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলে।

স্টুয়ার্ট ল তাই বাংলাদেশের ক্রিকেটের অলিগলি ভালোই চেনেন। তবে এই মুহুর্তে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে তাঁর পরিচয়, কদিন আগে বাংলাদেশকে অপদস্থ করা যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট দলের কোচ তিনি। গত এপ্রিলেই বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দায়িত্ব ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোচ হয়েছিলেন।

তা বাংলাদেশকে কাছ থেকে এবং প্রতিপক্ষ হিসেবে – দুইভাবেই দেখা স্টুয়ার্ট ল বাংলাদেশকে নিয়ে কী ভাবছেন? সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাতে সোজাসুজিই বলে দিয়েছেন, বাংলাদেশ গত সিকি শতাব্দীতেও কোনো উন্নতি করেনি!

‘বাংলাদেশ গত ২৫ বছরে একটুও এগোয়নি। তারা এতদিন যেটা করে এসেছে, সেটা কোনো কাজে আসেনি। ওদের তাই এখন কোনটাতে কাজ হবে সেটা খুঁজে বের করা উচিৎ’ – বাংলাদেশ দলের বিশ্লেষণে আল জাজিরাতে বলেছেন স্টুয়ার্ট ল।

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে এবারের আগ পর্যন্ত আটটি টুর্নামেন্টের সবগুলোতেই অংশ নিলেও কোনোবারই নকআউট পর্বে উঠতে না পারা একমাত্র দল বাংলাদেশ।

সে কারণেই স্টুয়ার্ট ল বলেছেন, ‘সম্ভবত ওদের এখন ধীরেসুস্থে বসে চিন্তা করা উচিত যে, “আমরা এভাবে এতদিন সবকিছু করে এসেছি, কিন্তু এতে কাজ হয়নি, আমরা একটুও এগোতে পারিনি। সম্ভবত আমাদের এখন ভিন্নভাবে সবকিছু করা উচিৎ।” এটা বলে আমি বর্তমান প্রশাসনকে খাটো করছি না, তবে ওদের খেলাটার সব দিক বিবেচনায় নেওয়া উচিৎ।’

এ যুগে টি-টোয়েন্টি মানে পাওয়ার হিটিং, আর সেখানে বাংলাদেশ যে অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে যোজন যোজন পিছিয়ে সেটা বুঝতে আইনস্টাইন হওয়ার দরকার পড়ে না। স্টুয়ার্ট ল-ও সেটাই বললেন, ‘ওরা পাওয়ার অ্যাথলেট না, তবে ওদের শরীর নমনীয়। সে কারণে ওরা ফাস্ট বোলিং করতে পারে, স্পিন বোলিং করতে পারে। এসব আমরা সবাই জানি। তবে ওরা তো ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বা অস্ট্রেলিয়ানদের মতো গায়ের জোরে খেলতে পারবে না, ওদের (ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান , অস্ট্রেলিয়ান) বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়া ভিন্ন, খাবার দাবার ভিন্ন।’

এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের করণীয় কী সেটা স্টুয়ার্ট ল ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে, ‘বাংলাদেশ যদি কিশোরদের একেবারে বেড়ে ওঠার সময় থেকে পরিকল্পনার মধ্যে নিয়ে নিতে পারে, ১২ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে প্রতিশ্রুতিশীলদের নিয়ে এনে ভালো ডায়েট দিয়ে, ফিজিক্যাল ফিটনেসের ভিত গড়ে দিতে পারে, তাহলে আমরা একটা বাংলাদেশ দলকে দেখতে পাব যাদের কেউ ছুঁতেও পারবে না!’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *