সভাপতির গরু দেরিতে জবাই করায় চাকরি হারালেন ইমাম!

অন্যান্য জাতীয় ধর্ম ও দর্শন মফস্বল

সুবর্ণবাঙলা অনলাইন ডেস্ক


ফাইল ছবি

মসজিদ কমিটির সভাপতির কুরবানির গরু দেরিতে জবাই করায় মারধরের শিকার হয়েছেন মসজিদের দায়িত্বরত ইমাম। সভাপতি চরম ক্ষিপ্ত হয়ে ইমামকে করেছেন চাকরিচ্যুতও। এ ঘটনা ঘটেছে গাজীপুরের শ্রীপুরে।

সোমবার সকালে ১০টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাংনাহাটি মধ্যপাড়া বায়তুন নূর জামে মসজিদে এমন ঘটনা ঘটে।

সভাপতির এমন অমানবিক স্বেচ্ছাচারিতা কর্মকাণ্ডের জন্য নিন্দা প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। দ্রুত সময়ের মধ্যে ইমামের চাকরি বহাল করার দাবিও জানান তারা।

অভিযুক্ত সভাপতির নাম কফিল উদ্দীন। তিনি শ্রীপুর পৌরসভার ভাংনাহাটি মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত জাফর আলীর ছেলে ও ভাংনাহাটি মধ্যপাড়া বায়তুন নূর জামে মসজিদের সভাপতি।

স্থানীয়রা জানান, সকালে ঈদুল আজহার নামাজ শেষে ঈদগাহ মাঠ থেকে মুসল্লিরা বাড়ি ফিরে কুরবানির পশু জবাইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এসময় বেশ কজন মুসল্লি তাদের পশু জবাই করার জন্য ঈমামের সাহায্যে চান। এরপর এক মুসল্লির গরু জবাইয়ের জন্য গেলে মসজিদ কমিটির সভাপতি কফিল উদ্দীন তার কোরবানির পশু (গরু) জবাইয়ের জন্য ইমামকে ফোন দেন।

এ সময় ইমাম পাশের আরেক বাড়ির পশু জবাই করে আসছেন বলে জানালে ক্ষীপ্ত হন তিনি। পরে ইমাম সভাপতির গরু জবাই করতে তার কাছে গেলে তিনি (সভাপতি) রেগে গিয়ে মারধর শুরু করেন ইমামকে। এসময় আশপাশের অন্যরা এগিয়ে এসে ইমামকে উদ্ধার করেন।

মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুবক্কর সিদ্দিক বলেন, ঈদের নামাজ শেষে পশু কুরবানির প্রস্তুতির একপর্যায় পাশের ইদ্রিস আলীর কুরবানির পশু (গরু) জবাইয়ের জন্য ডাকলে সেখানে চলে যাই। এসময় সভাপতি সাহেব ফোন করেন তার গরু জবাই করতে। একটু দেরি করে তার কাছে আসলে তিনি ক্ষিপ্ত হন ও তার অনুমতি ছাড়া অন্য গরু জবাই করার অপরাধে আমাকে গালমন্দ করেন। আমার শরীরেও হাত তোলেন।

তিনি বলেন, আমাকে চাকরি ছাড়তে বলা হয়েছে, কিন্তু আমি এখন নিজে থেকেই চাকরি ছেড়ে দেব। আমাকে মারধরের বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানিয়েছি।

ভাংনাহাটি মধ্যপাড়া বায়তুন নূর জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল আমীন জানান, আমি এমন একটি বিষয় (মারধরের) শুনেছি। তবে খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত বলতে পারব।

এ বিষয়ে জানতে মসজিদ কমিটির সভাপতি কফিল উদ্দীনের মুঠোফোনে ফোন দিয়ে সংবাদকর্মী পরিচয় দিলে তিনি ফোন কেটে দেন। এর পর একাধিকবার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *