বিরোধী দলনেতা হিসেবে যেসব সুবিধা ও ক্ষমতা পাবেন রাহুল

Uncategorized

সুবর্ণবাঙলা ডেস্ক

রাহুল গান্ধী

ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি ও দলটির অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা রাহুল গান্ধীকে বিরোধী দলনেতা নির্বাচন করেছে কংগ্রেস তথা বিরোধী ‘ইনডিয়া জোট’। নিজের জীবনে প্রথমবারের মতো এই সাংবিধানিক পদ গ্রহণ করেছেন তিনি।

ফলে ১৯৭৭ সালের সংসদীয় আইন অনুসারে, বেতন ও ভাতার পাশাপাশি বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা ও ক্ষমতাও পাবেন তিনি। নিয়ম অনুসারে, বিরোধী দলনেতা, ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমান মর্যাদা পান। তিনি বসবেন লোকসভার স্পিকারের চেয়ারের বাম দিকের একেবারে সামনের সারিতে।

বিরোধী দলনেতা একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমান মর্যাদা, বেতন এবং ভাতা পান। সেই হিসেবে রাহুল গান্ধীর বেতন হবে ৩ লাখ ৩০ হাজার রুপি। ক্যাবিনেট মন্ত্রী পর্যায়ের নিরাপত্তাও পাবেন তিনি। অর্থাৎ জেড প্লাস (ত+) ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পাবেন রাহুল। ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের মতো সরকারি বাংলোও পাবেন সাবেক এই কংগ্রেস সভাপতি।

সেই সঙ্গে রাহুল গান্ধী থাকবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং দুই নির্বাচন কমিশনার বাছাইয়ের তিন সদস্যের প্যানেলেও। তবে এখানে তিনি থাকবেন সংখ্যালঘু হিসেবে। কারণ, তিনি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়া, এই প্যানেলে থাকবেন আরও একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

এছাড়া সিবিআই, ইডি বা সিভিসির মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর প্রধানদের বাছাই করার কমিটিরও সদস্য হবেন রাহুল গান্ধী। এই কমিটিগুলো বাছাইয়ের ক্ষেত্রে রাহুলের হাতে আরও বেশি ক্ষমতা থাকবে। তিন সদস্যের এই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। আর তৃতীয় সদস্য হিসেবে থাকবেন ভারতের প্রধান বিচারপতি বা সুপ্রিম কোর্টের কোনও একজন বিচারপতি।

এটা বিরোধী পক্ষের জন্য বড় গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ বিরোধীরা বারবারই অভিযোগ করেন, বিরোধী নেতাদের হয়রানি করতেই বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে অপব্যবহার করে মোদি সরকার।

গান্ধী পরিবার থেকে এর আগেও দুই ব্যক্তি বিরোধীদলের নেতা ছিলেন। রাহুল গান্ধীর বাবা রাজীব গান্ধী, ১৯৮৯-৯০ সালে এই পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। রাহুলের মা সোনিয়া গান্ধী ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত লোকসভার বিরোধী দলনেতার পদে ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *