একাধিক মামলায় কোনঠাসা চাঁদপুরের আওয়ামী লীগ নেতারা

জাতীয় রাজনীতি

চাঁদপুর প্রতিনিধি


ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৮ জুলাই থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত পৃথক ঘটনায় চাঁদপুরে মামলা হয়েছে চারটি। এসব মামলায় সাবেক মন্ত্রী, এমপি, জনপ্রতিনিধিসহ আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাদের আসামি করা হয়। তবে মামলা হওয়ার আগে থেকেই আত্মগোপনে আছেন অনেক নেতা। মামলায় অনেক নেতার নাম অজানা কারণে বাদ পড়েছেন বলেও দাবি স্থানীয়দের।

স্থানীয়রা বলছেন, কেউ কেউ দীর্ঘ ১৬ বছর বিএনপি-জামায়াতের কঠোর সমালোচনা, হুমকি-ধমকি এবং অপরাধমূলক কাজে জড়িত থেকেও অদৃশ্য কারণে এখন পর্যন্ত মামলায় আসামি হননি। প্রভাবশালীদের আশ্রয়ে থাকা কথিত সাংবাদিক, শিক্ষকসহ অনেকে এর আওতার বাইরে রয়ে গেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় চাঁদপুরে প্রথম মামলাটি হয় গত ১৪ আগস্ট হাজীগঞ্জ উপজেলায়। এই উপজেলার আজাদ সরকার (৫২) নামে ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার ১৩ দিন পর ৪০ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন তার ছেলে ব্যাক্তির ছেলে আহম্মেদ কবির হিমেল। তিনি পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি বলেও জানা গেছে।

এরপর গত ১৮ জুলাই চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও আগুন দেয়ার ঘটনায় ১৫ আগস্ট চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন চাঁদপুর পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কালু হাওলাদারের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার। এই মামলায় দীপু মনি ও তার বড় ভাই টিপুসহ ৫১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় ১২০০ জনকে।

এরপরে গত ১৭ আগস্ট আরেকটি মামলা হয় হাইমচর উপজেলায়। হাইমচর সরকারি মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহছান হাবিব বাদী হয়ে হাইমচর থানায় মামলাটি করেন। ওই মামলায় উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুর হোসেনসহ আসামি করা হয় ৪৩ জনকে।

সবশেষ গত ২০ আগস্ট রাতে সদর থানায় আরেকটি মামলাটি করেন উপজেলার ঢালীরঘাট (উত্তর বালিয়া) এলাকার মৃত আলী আকবর খানের ছেলে নুরুল ইসলাম খান। এই মামলায়ও আসামি করা হয় সাবেক মন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক এমপি ড. সেলিম মাহমুদসহ ৬২৪ জনকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *