কূটনীতিকদের আসল নিরাপত্তা অপরিবর্তীত আছে: পররাষ্ট্রসচিব

জাতীয়

অনলাইন ডেস্ক

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।

বিদেশি মিশন ও কূটনীতিকদের মৌলিক নিরাপত্তায় বাংলাদেশ কোনো আপস করবে না বলে নিশ্চয়তা দিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।

মঙ্গলবার (১৬ মে) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, হলি আর্টিজানের ঘটনার পর জঙ্গিবাদের উথ্থানের বিবেচনায় বিষয়টা (বাড়তি প্রটোকল) দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে দেখা গেছে- এটা মূলত ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্সের কাজটাই করত। তাদের আসল যে নিরাপত্তার বিষয়টা সেটা কিন্তু অপরিবর্তীত আছে। নিরাপত্তার দিকে থেকে আমরা অন্তত ঘাটতি দেখতে পাচ্ছি না।

বেদান্ত প্যাটেলের ভিয়েনা কনভেনশন সংক্রান্ত মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ভিয়েনা কনভেশনে যে বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়েছে স্বাগতিক দেশ হিসেবে আমরা অবশ্যই সেগুলোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং অবশ্যই মেনে চলব।

কূটনীতিকদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা না দেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, এখন আমরা ঢাকা শহরে বা বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ বা যাই বলি না কেন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত রয়েছে এবং আমাদের ল’ এন্ড অর্ডার সিচুয়েশন যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে আছে।

কূটনীদিকদের গাড়িতে পতাকা ওড়ানো বন্ধ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এ ব্যাপারে কোনো আলোচনা হয়নি। নিউইয়র্ক বা জেনেভায় সেখানে কখনই পতাকা ওড়ানোর কোনো পদ্ধতি নেই। অনেক দেশে আছে, রাষ্ট্রীয় যত মিটিং হয় তখন আপনি পতাকা উড়িয়ে যেতে পারবেন। কিছুটা এটা নিজের ওপর থাকে।

রাষ্ট্রদূত থাকার সময়ে অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আমি নিজে রাষ্ট্রদূত ছিলাম। যখন ইতালি ও জাপানে ছিলাম, আমিতো পতাকা উড়িয়েছি। কিন্তু আমি যদি বাজারে যাই, কলিগের বাসায় ব্যক্তিগত দাওয়াতে যাই; তখন তো আমি পতাকা উড়াবো না। রাষ্ট্রদূতদের এটা সেন্স। কী করা উচিত কী করা উচিত না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *