সুবর্ণবাঙলা অনলাইন ডেস্ক
শেখ হাসিনা সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা কোথায় দাঁড়িয়েছে তা নির্ণয় করতে কাজ শুরু করেছে কমিটি। আগামী দুই মাসের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয়ে জানাবে এই কমিটি।
মঙ্গলবার এই কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে তারা কী কী নিয়ে কাজ করবে তা চিহ্নিত করা হয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
গত বৃহস্পতিবার প্রথম সভায় শ্বেতপত্রের মূল উদ্দেশ্য ও কাজের পরিধি নিয়ে আলোচনা হয়।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, সুনির্দিষ্টভাবে কী কী বিষয়ের ওপর আমরা মনোযোগ দেবো সেই বিষয়গুলো আমরা চিহ্নিত করেছি। সেই বিষয়গুলোকে কে কীভাবে লিখবেন সেই দ্বায়িত্ব বণ্টন করেছি। একই সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এটা লেখার ক্ষেত্রে কী পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে।
তিনি বলেন, আমর যেসব উৎস থেকে তথ্য পাবো সেসব অনেক সমালোচকের দৃষ্টিতে দেখবো। এগুলোর সঠিকতা যাচাই করবো এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানের সঙ্গে তুলনা করে দেখবো। একইসঙ্গে যেসব গবেষণা এই এলাকাগুলোয় (দেশে) আছে, সেগুলো আমরা পর্যালোচনা করবো।
শুধু দেশে নয়, বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশি বিশিষ্টজনের সঙ্গেও আলোচনা হবে জানিয়ে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আমরা আলোচনায় যাবো। সেই আলোচনা শুধু ঢাকায় না, ঢাকার বাইরেও হবে। দেশের বাহিরেও আমরা আলোচনা করবো। যেসব নাগরিকরা বিদেশে, ঢাকার বাইরে আছেন এবং ঢাকার ভেতরে যারা বিভিন্ন পেশায় যুক্ত আছেন তাদের মতামত নেবো।
দেবপ্রিয় বলেন, বিদেশের সঙ্গে আলোচনা করা তুলনামূলকভাবে সহজ। আগামী পরশুদিনই আমরা আলোচনা করছি সন্ধ্যাবেলায়। বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান এগুলোর সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরা আছেন তাদের সঙ্গে আমরা এই আলোচনাটা করবো।
আগামী দুই মাসের ভেতরে কীভাবে কাজগুলো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে সে বিষয়ে আজকের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
কমিটির কাজের বিষয়ে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, সাধারণ অর্থনীতি, সামষ্টিক অর্থনীতির বিষয় যেমন আছে, এটার মধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য থেকে আরম্ভ করে জ্বালানি এরকম খাতওয়ারি বিভিন্ন আলোচনা করা হবে। আবার কিছু প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাপারও আছে। সেটা হলো ব্যাংকিং খাত, কর আহরণের ব্যাপার আছে। একইভাবে পাচার অর্থ নিয়ে আলোচনা আছে। মেগা প্রকল্প আলোচনা আছে। দারিদ্র্য বিমোচন, আমাদের বৈষম্য এসব নিয়েও আলোচনা হবে।
বৈদেশিক ঋণের যে চুক্তি হয়েছিলো সেই বিষয় শ্বেতপত্র কমিটি দেখবে কি না জানতে চাইলে এই কমিটির প্রধান বলেন, বিভিন্ন চুক্তির বিষয় যদি আমাদের সামনে আসে তাহলে নিঃসন্দেহে এগুলো আমরা দেখবো। এটা বিশেষ করে জ্বালানি খাতের জন্য চিন্তা করা হয়েছে।