জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন পুনর্গঠনের দাবি

জাতীয় রাজনীতি

সুবর্ণবাঙলা ডেস্ক

জনপ্রশাসন শব্দের মধ্যেই লুকিয়ে আছে মানুষকে শাসন-শোষণ ও নির্যাতনের বীজ। তাই আমরা আধুনিক বাংলাদেশের সেবা ব্যবস্থাপনা থেকে ‘জনপ্রশাসন’ শব্দটি বাতিল করতে চাই। জনগণের টাকায় বেতনভুক্ত ব্যক্তি কোনোভাবেই জনগণের প্রশাসক হতে পারে না। তাই জনপ্রশাসন শব্দটির যথাযথ নয়। এজন্য আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনে সব ক্যাডার থেকে সদস্য নিয়ে সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে।

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সাগর-রুনী হলে ‘জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্যদের প্রত্যাখ্যান কমিটিতে সব ক্যাডারের প্রতিনিধিত্ব চাই’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন বক্তারা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তথ্য ক্যাডারে কর্মরত মনির হোসেন।

তিনি বলেন, ‘জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন’ যে আট সদস্যের কমিটি গঠন করেছে, সেখানে ২৫টি ক্যাডারের কোনো সদস্য নেই। বরং কমিশন প্রধানসহ ছয়জন সদস্য একটি ক্যাডারের, যারা সিভিল প্রশাসনের বৈষম্য সৃষ্টিকারী। এ ছাড়া ইতঃপূর্বেও বৈষম্য নিরসনে তাদের দিয়েই কমিটি গঠিত হয়েছিল এবং তারা সেই সুযোগে বৈষম্য আরও বৃদ্ধি করেছেন।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয় ‘আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ’ মনে করে, বৈষম্যপূর্ণ এ কমিশন কোনোভাবেই বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারবে না বরং বিদ্যমান সিভিল প্রশাসন আরও গণবিরোধী হবে। তাই, পরিষদ এ কমিশনকে প্রত্যাখ্যান করছে এবং সব পেশাজীবীর অন্তর্ভুক্তি করে পুনর্গঠন করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিসিএস তথ্য কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক দেওয়ান, কৃষি ক্যাডারের কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসেন, শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা ড. মো. মফিজুর রহমান, রেলওয়ে কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম, গণপূর্ত কর্মকর্তা মো. জামিলুর রহমান, পশুসম্পদ কর্মকর্তা ড. মো. আহসান হাবিব, সমবায় কর্মকর্তা নূর ই জান্নাত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *