ডিমের দাম কমাতে সরকারের যে চিকন বুদ্ধিতে কুপোকাত মুনাফালোভীরা

অর্থ ও বাণিজ্য জাতীয়

অনলাইন ডেস্ক

ডিমের দাম কমাতে বিশেষ কৌশল অবলম্বনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এখন থেকে ডিম উৎপাদক বড় কোম্পানি ও ছোট খামারিরা সরকার নির্ধারিত দামে সরাসরি পাইকারি আড়তে ডিম পাঠাবে। এর মধ্যে কোনো মধ্যস্বত্বভোগী থাকবে না। ফলে পাইকারি বিক্রেতারা সরকার নির্ধারিত দামে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ডিম বিক্রি করবেন।

আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে ডিমের দাম ও সরবরাহ নিয়ে আয়োজিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় ডিমের উৎপাদক, পাইকারি বিক্রেতা ও সরবরাহে যুক্ত অংশীজনেরা উপস্থিত ছিলেন। বাজারে ডিমের দাম বেশ অনেকটা বেড়ে যাওয়ার পর নতুন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।

সভা শেষে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আলীম আক্তার খান জানান, হঠাৎ করে ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ হলো মধ্যস্বত্বভোগী। উৎপাদন থেকে পাইকারি পর্যায়ে ডিম বিক্রির ক্ষেত্রে কিছু কারসাজি রয়েছে। তারা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন যে উৎপাদনকারী থেকে ভোক্তা পর্যায় পর্যন্ত ডিম পাঁচবার হাত বদল হয়। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে দু–তিনটি হাত (ধাপ) কমবে। ফলে ক্রেতারা কম দামে ডিম কিনতে পারবেন।

আলীম আক্তার খান বলেন, ‘সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকাল বুধবার থেকে করপোরেট ব্যবসায়ী ও খামারিরা সরকার নির্ধারিত যৌক্তিক মূল্যে সরাসরি পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে ডিম সরবরাহ করবে। পাইকারি ব্যবসায়ীরাও যৌক্তিক দামে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ডিম বিক্রি করবেন। মাঝখানে কোনো মধ্যস্বত্বভোগী থাকবে না। বড় ব্যবসায়ীরা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাই আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে পাইকারি ব্যবসায়ীরা সরকার নির্ধারিত দামে ডিম পাবেন। তাঁরা আমাদের যে কথা দিয়েছেন, আমরা তাঁদের সেই কথার ওপর বিশ্বাস ও আস্থা রাখতে চাই।’

সম্প্রতি কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ডিমের ‘যৌক্তিক দাম’ নির্ধারণ করে দেয়। নির্ধারিত দাম অনুসারে, প্রতিটি ডিমের দাম উৎপাদন পর্যায়ে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১১ টাকা ০১ পয়সা ও খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা (ডজন ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা) হওয়ার কথা। তবে বাজারে এর চেয়ে অনেক বেশি দামে ডিম বিক্রি হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি ডজন ডিম ১৮০–১৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ডিমের বড় পাইকারি আড়তে গত দুই দিন ধরে ডিম বিক্রি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। ভোক্তা অধিদপ্তরে আজকের বৈঠকের পরে অবশ্য পুনরায় ডিম বিক্রি শুরু করার কথা জানিয়েছেন আড়তদারেরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *