মিসর-ইরান বৈঠক: মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক পরিস্থি কি নতুন মোড় নিচ্ছে?

আন্তর্জাতিক

সুবর্ণবাঙলা ডেস্ক


ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। ছবি: সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক ও সামরিক অস্থিরতার মধ্যে কায়রোতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচির সঙ্গে বৈঠক করেছেন মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।বুধবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কায়রোতে অবতরণের পর মিসরের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন আব্বাস আরাগচি।

এদিকে ইসরায়েল যে কোনো সময়ে ইরানের বিরুদ্ধে হামলা চালাতে পারে। আর ইরানও পাল্টা জবাবের জন্য প্রস্তুত। এই উত্তেজনার মধ্যে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান গত সোমবার মিসরে প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। যা মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক পরিবেশকে আরও জটিল করে তুলেছে।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গাজা সংকটে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে মিসর। এই কারণে দেশ দুটি মধ্যে কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি পর্যন্ত পৌঁছালেন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের অভিমত।
আর সামরিক শক্তিতে মিসর যেকোনো পরাশক্তির সঙ্গে টক্কর নেওয়ার সক্ষমতা রাখে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার প্রশ্নে যদি মিসর ও ইরান একত্রিত হয়ে কাজ করে; তবে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সমীকরণ তৈরি হতে পারে। তাহলে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে দখলদার ইসরায়েল।

এদিকে ফিলিস্তিনের পক্ষে জনমত গঠনের জন্য লেবানন, সিরিয়া, সৌদি আরব, কাতার, ইরাক, ওমান সফরে যান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। তিনি জর্ডান এবং সফরও করলেন এবার। এরপর তুরস্ক সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে তার। কারণ তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান গাজা ও লেবাননের মুসলিমদের সহিংসতার বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠে আওয়াজ তুলছেন।

সম্প্রতি মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি তুরস্ক সফর করেছেন। যেখানে দুই নেতা মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ওপর জোর দেন। এই বৈঠক মিসরের সামরিক শক্তির পুনরুত্থানের সূচনা করেছে।
বৈঠকের ফলাফল হিসেবে মিসর সম্প্রতি গাজা সংলগ্ন সীমান্তে শত শত ট্যাংকসহ সৈন্য জড়ো করেছে। যা মিশরের যুদ্ধংদেহী মনোভাবকে প্রকাশ করে। আর এই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। কারণ আরব বিশ্বের চাপে প্রেসিডেন্ট সিসি আবারও বজ্রকন্ঠে হুংকার ছাড়তে পারেন।

বর্তমান এই পরিস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে, ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের দিন শেষ হতে চলেছে। মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক জটিলতা, আরব বিশ্বের ঐক্য এবং মিসরের সামরিক শক্তির পুনরুত্থান ইসরায়েলের জন্য বিপদের শঙ্কা তৈরি করছে। এমন এক সংকটে পড়েছে ইসরায়েল, যেখানে প্রতিপক্ষদের মধ্যে একতা এবং শক্তি বৃদ্ধি তাদের অস্তিত্বের প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *