সুবর্ণবাঙলা অনলাইন ডেস্ক
দৈনিক ইত্তেফাকের ডিজিটাল রিপোর্টে ‘অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক’ উপ-শিরোনামে ‘আওয়ামী জোটের নেতা মেননের ২৫ হাজার কোটি টাকার সম্পদ’ শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, তার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।
গত ১৭ অক্টোবর ইত্তেফাকের ডিজিটাল রিপোর্টে লেখা হয়, আওয়ামী সরকারের আমলে ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২০ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকা সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গোয়েন্দা অনুসন্ধানে অভিযোগের বেশ কিছু প্রমাণ পাওয়া গেছে। এবার প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় মিডিয়া বিভাগের আহবায়ক মোস্তফা আলমগীর রতন পাঠানো প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, প্রকাশিত সংবাদে দেখা যায় রাশেদ খান মেনন রমনা, মতিঝিল ও সবুজবাগ থানা নিয়ে গঠিত ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য। প্রকৃত পক্ষে তিনি রমনা-মতিঝিল-পল্টন-শাহবাগ ও শাহজাহানপুর থানা নিয়ে গঠিত ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। এছাড়া দুদকের বরাত দিয়ে যে নিউজ করা হয়েছে তা অনুসন্ধান পর্যায়ের। অথচ রিপোর্টারের রিপোর্টের ধরন অনুযায়ী পাঠক ও দেশবাসীর কাছে যে বার্তা যাচ্ছে তা হচ্ছে তিনি অবৈধ উপায়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন, যা কল্পনা প্রসূত ছাড়া আর কিছু নয়।
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, অভিযোগ উঠা একটা বিষয়কে উনি যাচাই-বাছাই ছাড়া ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি বাণিজ্য, মাদক ব্যবসা, স্বর্ণ চোরাচালান ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে চাঁদা, নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য, বিমান ক্রয় দুর্নীতি ও অবৈধভাবে বরাদ্ধ নিয়ে দেশে এবং বিদেশে এই সম্পদ গড়েছেন এমন একটা নিউজ কিভাবে করলেন? এটা কি উদ্দ্যেশে প্রণোদিত, ইচ্ছামাফিক, মনগড়া নিউজের মধ্যে পড়ে না? উনি সংসদ সদস্য হিসেবে এলাকায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীও ছিলেন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর অনুসন্ধানের মধ্যে প্রকৃত তথ্য যা বেরিয়ে আসবে তা চার্জশিট আকারে যখন জমা দেওয়া হবে, তখন সেই রিপোর্ট আপনারা ছাপাবেন এটাই স্বাভাবিক। তখন কোন বিভ্রান্তি হওয়ার সুযোগ থাকবে না।