নারী ফুটবলে বিদ্রোহের ধ্বনি , কোচের দায়িত্ব ছাড়ছেন ছোটন

খেলাধুলা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

হঠাৎ করেই বাংলাদেশ নারী ফুটবলারদের দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গোলাম রব্বানী ছোটন। ‘মানসিক অশান্তির’ জায়গা থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশের নারী ফুটবল জাগরণের নায়ক। আগামী ৩১ মের পর থেকে আর বাফুফের মহিলা দলের দায়িত্বে না থাকার কথা নিশ্চিত করেছেন ছোটন।

গোলাম রব্বানী ছোটনের হাত ধরেই বাংলাদেশের নারী ফুটবলের জাগরণের শুরু।

২০০৮ সাল থেকে দেশের মেয়ে ফুটবলের সঙ্গে জড়িত তিনি। তার অধীনে এসেছে মেয়েদের সব সাফল্য। সিনিয়র জাতীয় দল এবং বয়সভিত্তিক মিলিয়ে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাতটি শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। মেয়ে ফুটবলে সবচেয়ে বড় সাফল্য ২০২২ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়।
সেটাও এসেছে এই ছোটনের হাত ধরে। কিন্তু সেই ছোটনই কিনা এই মেয়েদের দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এমন সাফল্যের পরও কেন এই সিদ্ধান্ত, এই প্রশ্নের জবাবে ছোটন বলেছেন,’মানসিক অশান্তি নিয়ে কাজ করা যায় না। সেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করেও নানান কথা শুনতে হয়।

এভাবে কাজ করা যায় না। আগামী ৩১ মের পর থেকে আমি আর দায়িত্বে থাকছি না। প্রতিদিনই কাজের চাপ বাড়ছে। এরপরেও শুনতে হয় এটা হয় না, ওটা হয় না। এই মানসিক যন্ত্রণা নিতে পারছি না।

তবে কে বা কারা এসব বলে এইটা তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। বাফুফের ভেতরে গুঞ্জন আছে মহিলা কমিটির প্রশ্রয়ে পল স্মলির অযাচিত হস্তক্ষেপেই চাকরি ছাড়তে বাধ্য করছে তাকে। যদিও বাফুফেতে এখনো আনুষ্ঠানিক চিঠি দেননি ছোটন। তবে মেয়েদের দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন তিনি।

বয়সভিত্তিক দল থেকে জাতীয় দল- সব পর্যায়েই এক হাতে সামলেছিলেন গোলাম রব্বানী ছোটন। এই ছোটনের কারণেই ফুটবলে স্বপ্ন দেখেছে মেয়েরা। কিন্তু সেই মেয়েরাও এখন ফুটবল ছাড়ছেন। ইতোমধ্যে তিন জন মেয়ে ফুটবল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সবশেষ সংযোজন সিরাত জাহান স্বপ্না। আজ দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে ফুটবল থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এর আগে আনুচিং মোগিনী এবং সাজেদা খাতুনও একই পথে হেঁটেছেন। তাহলে কি দেশের নারী ফুটবলে লেগেছে বিদ্রোহের আগুন!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *