স্পোর্টস ডেস্ক
সাকিব আল হাসান ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব আল হাসান। বোলিংয়ে ভূমিকা রাখবেন দূরের কথা দুই ম্যাচেও তাকে ৪ ওভার বল করায়নি অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। সাকিবের ওপর ক্রমেই চাপ বাড়ছিল। শোনতে হচ্ছিল সমালোচনা। ভারতের বীরেন্দ্রর শেবাগ তো বলেই ফেলেছেন সাকিবের লজ্জা হওয়া উচিত নিজের পারফরম্যান্স দেখে। এবং বলা উচিত আর খেলব না।
সব সমালোচনার জবাব দিতে একটা ম্যাচ জেতানো ইনিংস বড্ড প্রয়োজন ছিল সাকিবের। আগেও বহুবার যেমনটি করে দেখিয়েছেন সাকিব। সমালোচনার মুখে ভালো ইনিংস খেলে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও সেটা আরও একবার করে দেখালেন সাকিব। ৪৬ বলে অপরাজিত ৬৪ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছেন সাকিব। এমন ইনিংস খেলে কাউকে কি জবাব দিতে চেয়েছেন সাকিব। তিনি অবশ্য এমন কথা হেসেই উড়িয়ে দিয়েছেন।
সাকিব বলেন, ‘আমি কাউকে উত্তর দেওয়ার জন্য ক্রিকেট খেলি না। আমার মনে হয়, ক্রিকেট খেলায় ব্যাটসম্যানদের কাজ ব্যাটিং করা, রান করা। বোলারদের কাজ উইকেট নেওয়া। ফিল্ডারদের কাজ ভালো ফিল্ডিং করা, ক্যাচ নেওয়া।’
নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে সাকিব বলেন’, ‘দলে কতটা অবদান রাখা গেল, এটাই আসল কথা। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে প্রথম চার ব্যাটসম্যানের কারও ১৬/১৭ ওভার ব্যাটিং করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, আজ আমি তা করতে পেরেছি বলে খুশি।’
সুপার এইটের লড়াইয়ে এগিয়ে যেতে ডাচদের হারাতে হতো বাংলাদেশকে। ২৫ রানের জয়ে সেটাই করে ফেলেছে বাংলাদেশ। এখন গ্রুপের শেষ ম্যাচ জিতলেই বাংলাদেশ পা রাখবে সুপার এইটে। হারলেও অবশ্য সুযোগ থাকবে বাংলাদেশের সামনে। তবে সেক্ষেত্রে ফের সমীকরণের জটিলতায় পড়তে হবে বাংলাদেশকে। তাই নেপালের বিপক্ষে জয়টাই প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ। যেই ম্যাচটি মাঠে গড়বে আগামী ১৭ জুন।