সুবর্ণবাঙলা প্রতিবেদক
করোনারভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বুধবার সারাদেশে আবারও শুরু হচ্ছে টিকার তৃতীয় ও চতুর্থ অর্থাৎ ডোজের কার্যক্রম। টিকা সংকটের কারণে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এই কার্যক্রম বন্ধ ছিল। অর্থাৎ প্রায় তিন মাস পর দেশের সিটি করপোরেশন, জেলা-উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ে স্থায়ী কোভিড-১৯ টিকাদান কেন্দ্রে দেওয়া শুরু হচ্ছে।
মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) প্রোগ্রাম ম্যানেজার এসএম আবদুল্লাহ আল মুরাদ।
এদিকে টিকা কার্যক্রম শুরু হওয়া ও বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে দিকনির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ ফাইজার ভ্যারিয়েন্ট কনটেইনিং ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী গত ২৫ মে এ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন। পরবর্তী সময়ে এ কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে দেশব্যপী প্রদান নিশ্চিতকল্পে নিম্নবর্ণিত অবশ্য পালনীয় নির্দেশনাসমূহ বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজের টিকা নিতে পারবে ১৮ বছর বয়স থেকে ঊর্ধ্বে সব জনগোষ্ঠী। দ্বিতীয় ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নেওয়ার কমপক্ষে ৪ মাস তৃতীয় ডোজ (বুস্টার) ভ্যাকসিন নিতে হবে। তৃতীয় ডোজ নেওয়ার কমপক্ষে ৪ মাস পর চতুর্থ ডোজ (বুস্টার) ভ্যাকসিন নিতে হবে। চতুর্থ ডোজ (বুস্টার) ভ্যাকসিন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ৬০ বছর বা ঊর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর বয়সী জনগোষ্ঠী, স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন জনগোষ্ঠী (ইম্যুনোকম্প্রোমাইজ), গর্ভবর্তী মা ও ফ্রন্ট লাইনারদের ভিসিডি ভ্যাকসিন দিতে হবে।
এর আগে সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ফাইজার-ভিসিভি কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম শুরু সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, চলমান কোভিড মোকাবিলায় বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও সফলভাবে ভ্যাকসিন প্রদান করেছে। গোটা বিশ্বে যত ভ্যাকসিন পেয়েছে তার ১১ ভাগ ভ্যাকসিন বাংলাদেশ পেয়েছে।