ইউপি চেয়ারম্যানের মামলায় নারী মেম্বারসহ দুই জন হজতে

অন্যান্য জাতীয় মফস্বল

সুবর্ণবাঙলা প্রতিনিধি

পটুয়াখালীতে ভিজিএফের চাল বিতরণে অনিয়ম ও হামলার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানের মামলায় গ্রেপ্তার একই পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্যসহ দুই জনকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত।

বুধবার দুপুরে তাদের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হাজির করা হলে বিচারক জামিন আবেদন গ্রহণ না করে জেল হাজতে পাঠান।

তারা হলেন- সদর উপজেলার মৌকরণ ইউনিয়নের ১, ২, ৩ নম্বর নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য মিনারা বেগম ও তার ভাতিজা রাকিব হোসেন।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার ইউনিয়নে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১০ কেজি করে ভিজিএফের চাল বিতরণের তারিখ ছিল। ইউনিয়নের মোট ৬০৯ জনের নামে এই বরাদ্দ আসে। দুপুর একটার দিকে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে চেয়ারম্যান কাজী রাইসুল ইসলাম সেলিম ও মিনারা বেগমের মধ্যে তালিকা ও চাল বিতরণ নিয়ে তর্ক হয়।

মিনারা বেগমের অভিযোগ, তার ৩৫ জনকে লাইনে দাঁড় করালে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে গালাগাল করেন। তিনি পরিষদ থেকে বের হয়ে বিষয়টি তার আত্মীয়দের জানান। এ সময় চেয়ারম্যানের ছোট ভাই সমাপ্তি কাজী ঘটনাস্থল দিয়ে যাবার সময় তাদের সঙ্গে তর্ক করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। পরে চেয়ারম্যান লোকজন ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালালে আরেক দফা মারামারি হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদর থানা ওসি ঘটনাস্থলে আসার পরে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং চাল বিতরণ শেষ হয়। অথচ ওই রাতেই আমাকে এক নম্বর আসামি করে চেয়ারম্যান মামা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান কাজী রাইসুল ইসলাম সেলিমের অভিযোগ ও মামলার বিবরণে জানা যায়, চাল বিতরণের সময় তালিকায় নাম ছাড়া লোক লাইনে দাঁড় করানোয় ওই ইউপি সদস্যকে তাদের নিয়ে চলে যেতে বলা হয়। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আত্মীয়দের নিয়ে তার এবং ভাইয়ের ওপর হামলা চালান। এতে কয়েকজন আহত হন, তার বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি।

পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, ইউপি চেয়ারম্যান বাদি হয়ে ৯ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। রাতেই মিনারা বেগম ও তার ভাতিজাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। বুধবার দুপুরে তাদের কোর্টে হাজির করা হয়।

বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আল আমিন জানান, আসামিদের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক জামিন আবেদন গ্রহণ না করে জেল হাজাতে পাঠান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *