অনলাইন ডেস্ক
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। নিউজ উইক
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন, দেশটির পূর্বাঞ্চলে তাদের সেনাদের হামলায় রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার অভাবনীয় ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। শুধু ওই অঞ্চলেই ওয়াগনারের ২১ হাজার সশস্ত্র যোদ্ধাকে হত্যা করেছে ইউক্রেনীয় সেনারা।
চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে সবচেয়ে কঠিন সংঘর্ষ হচ্ছে দেশটির পূর্বাঞ্চলে। আর ওই অঞ্চলটিতেই রাশিয়ার সশস্ত্র আধাসামরিক বাহিনী ওয়াগনার মস্কোর হয়ে ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, শনিবার রাতে রাজধানী কিয়েভ থেকে ইউক্রেন যুদ্ধের সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য দেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ সময় ওয়াগনারের ২১ হাজার সেনা হত্যার দাবি করেন তিনি। এ ছাড়া প্রচণ্ড লড়াইয়ে ভাড়াটে বাহিনীটির আরও ৮০ হাজার যোদ্ধা গুরুতর আহত হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। ওই হামলার শুরু থেকেই রাজধানী কিয়েভে বসে যুদ্ধের গতিবিধি নিয়ে নিয়মিত আপডেট জানাচ্ছেন জেলেনস্কি।
খবরে বলা হয়েছে, কিয়েভ সফরে যাওয়া স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের সঙ্গে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন জেলেনস্কি।
ওই সময় তিনি আরও বলেন, ওয়াগনারের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যারা বেশিরভাগই রুশ সেনাবাহিনীর সদস্য ছিল। যারা বিভিন্ন কারণে দোষী সাব্যস্ত ছিল। তাদের আর হারানোর কিছু ছিল না।
তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ভাড়াটে ওয়াগনার যোদ্ধাদের প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে জেলেনস্কির দাবির বিষয়ে তাৎক্ষণিক স্বাধীনভাবে সত্যতা যাচাই করতে পারেনি তারা।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো কিয়েভ সফরে গেলেন স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী। তার আগে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) প্রধান উইলিয়াম বার্নস ইউক্রেন সফরে যান। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।