কাঁচা মরিচের ঝাল ক্রেতাদের নাজেহাল করে এবার কমতে শুরু করেছে

অন্যান্য জাতীয়

সুবর্ণবাঙলা প্রতিবেদক

কাঁচা মরিচের দামে নাজেহাল ক্রেতারা। কৃষকরা বলছেন, প্রচণ্ড তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে এবার কাঁচা মরিচের ফলন চারভাগের একভাগ হয়নি।

মরিচ উৎপাদনের জেলাগুলোর পাইকারি বাজারেই সাড়ে চারশ’ টাকা থেকে পাঁচশ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। আর খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে।

মানিকগঞ্জের খুচরা বাজারে রোববার সকালে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছিল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে কমে আসে মরিচের দাম।

খুচরা বাজারে এখন ৫৬০ টাকা কেজিতে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতাদের অভিযোগ, সুষ্ঠু মনিটরিং ব্যবস্থা থাকলে খুচরা বাজার এবং পাইকারি বাজারের ফারাক বেশি হতো না।

ফরিদপুরেও পাঁচশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ। যদিও ব্যবসায়ীরা বলছেন, একদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে দাম কমেছে দুইশ থেকে তিনশ’ টাকা।

আগামী কয়েকদিন মরিচের সরবরাহ বাড়লে দাম স্বাভাবিক হবে বলছেন তারা। এরিইমধ্যে ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে কাঁচামরিচ। ভোমরা বন্দর দিয়ে এসেছে ছয় ট্রাক কাঁচা মরিচ।

এদিকে, ঝিনাইদহের শৈলকুপাতে ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। যদিও জেলার অনান্য বাজারে এর দাম ৬০০ থেকে সাড়ে ৬০০ টাকা।

গত সপ্তাহে কেজি তিনশ থেকে চারশ টাকা থাকলেও সিণ্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারণে এই দাম বেড়েছে বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা।

তবে বিক্রেতারা বলছেন, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে মরিচের ক্ষতি ও বাজারে মরিচ কম সরবরাহের কারনে দাম বেড়েছে।

নেত্রকোণার বাজারগুলোতে কমছে না মরিচের ঝাঁঝ। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি সাড়ে চারশ’ টাকা থেকে পাঁচশ’ টাকার মরিচ শহরের খুচরা বাজারে এসে বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৮০০টাকা।

আরও পড়ুন: সুগন্ধায় জাহাজে বিস্ফোরণ: নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান চলছে

তবে সবজির পাইকারি মোকাম বগুড়ার মহাস্থান হাটে কাঁচা মরিচের দাম কমতে শুরু করেছে। একদিনের ব্যবধানে সেখানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম অর্ধেক কমে ২৫০ টাকা হয়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে মরিচের গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়া কৃষক পর্যায়েই দাম বেড়ে গেছে। প্রতিদিন ১০ টনের জায়গায় পাইকারি আসে এক টস করে। ফলে দাম বাড়তেই থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *