ভবঘুরে জীবন কাটিয়ে সাবেক কলেজশিক্ষক দেশে ফিরলেন ভারত থেকে।

অন্যান্য প্রবাসে-পরবাসে

সুবর্ণবাঙলা প্রতিনিধি

ভারতে প্রায় সাত বছর ভবঘুরে জীবন কাটিয়ে অবশেষে দেশে ফিরলেন শ্রীমঙ্গল মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যাপক সম্পদ রঞ্জন রায়। শনিবার দুপুরে বিএসএফ ও ভারতীয় সীমান্ত পুলিশ বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থলবন্দরে বিজিবি ও ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করেছে।

পরে বিজিবি ও ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছ থেকে সম্পদ রঞ্জন রায়কে তার ভাই সঞ্জয় কুমার রায় গ্রহণ করে বাড়ি নিয়ে যান।

সম্পদ রঞ্জন রায় হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শাহানগর গ্রামের মৃত কালিপদ রায়ের ছেলে।

বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়ন ও শেওলা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দেশে প্রত্যাবর্তনকারী সম্পদ রঞ্জন রায় (৭০) দীর্ঘদিন শ্রীমঙ্গল মহিলা কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। এরপর হঠাৎ অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ত্রিপুরা সীমান্ত ফাঁড়ি দিয়ে তিনি ভারতে প্রবেশ করেন। প্রায় সাত বছর অনেক খোঁজাখুঁজি করে পরিবারের লোকজন তার কোনো সন্ধান পাননি। তিনি ভারতের আসাম রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ভবঘুরে জীবন কাটাচ্ছিলেন। তবে গত কয়েক মাস আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার সন্ধান পান স্বজনরা। এরপর আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী ও সীমান্ত পুলিশ ভবঘুরে মানসিক ভারসাম্যহীন সাবেক কলেজশিক্ষক সম্পদ রঞ্জন রায়কে স্বদেশ ভূমিতে পাঠিয়েছে।

সীমান্তের শেওলা-সুতারকান্দি জিরো পয়েন্টে বাংলাদেশি নাগরিককে হস্তান্তরকালে উপস্থিত ছিলেন বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের বড়গ্রাম বিওপির কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ রকিব, শেওলা স্থলবন্দর (ইমিগ্রেশন পুলিশ) চেকপোস্টের ইনচার্জ সৈয়দ মওদুদ আহমদ রুমী, বিএসএফের সুতারকান্দি কোম্পানি কমান্ডার ডি মিশ্র, সুতারকান্দি সীমান্ত পুলিশ চেকপোস্টের ইনচার্জ সমরেন্দ্র চক্রবর্তী প্রমুখ।

শেওলা স্থলবন্দর পুলিশ চেকপোস্টের ইনচার্জ এসআই রুমী জানান, ভারত থেকে সম্পদ রঞ্জন রায় নামে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার একজন সাবেক শিক্ষক দেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন। বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশ দুপুরের দিকে তাকে বিজিবি ও পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চেকপোস্টে অপেক্ষায় থাকা তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *