সুবর্ণবাঙলা অনলাইন ডেস্ক
এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবসায়ী সম্মেলনে’ বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সৌজন্য ছবি
এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবসায়ী সম্মেলনে’ বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সৌজন্য ছবি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করুন। আমরা সব সময় আপনাদের (ব্যবসায়ীদের) পাশে আছি।
শনিবার (১৫ জুলাই) রাতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবসায়ী সম্মেলন’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দলমতনির্বিশেষে সবার জন্য ব্যবসার ক্ষেত্রে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। সব সময় আপনাদের সহায়তা করে যাবে। এখানে কোনো ‘হাওয়া ভবন, খাওয়া ভবন’ থাকবে না। আমাদের সামনে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব। সেখানে বেশির ভাগ দক্ষ জনগোষ্ঠী প্রয়োজন হবে। এ জন্য সরকার দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, আজকের এবং সেই ’৮১ সালের বাংলাদেশের মধ্যে অনেক তফাত। অনেকেই বলেছিলেন, এত ব্যাংক দিয়ে কী হবে? বাংলাদেশের অর্থনীতি তো এতবড় না যে এত ব্যাংক লাগবে। আমার কথা ছিল, অর্থনীতি তো এত ছোট থাকবে না, অর্থনীতি বড় করার জন্যই তো আমাকে ব্যাংক দিতে হবে। কাজেই সেভাবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্ভাবনী ধারণা কাজে লাগিয়ে রপ্তানি বাড়াতে নতুন বাজার ও পণ্য খুঁজে বের করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এ জন্য সরকার সর্বদা তাদের পাশে থাকবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো কোনো ব্যবসায়ীকে তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা দেখে বিচার করে না।
বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশনে টকশোর নামে টক টক কথা বলা হয় অভিযোগ করে শেখ হাসিনা বলেন, একেকটা কাজ করতে গিয়ে অনেক সমালোচনা শুনতে হয়। মেট্রোরেল করার সময় শুনতে হলো, ৩৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে মেট্রোরেল করার কী দরকার? ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করলেই তো নাকি সব সমাধান হয়ে যায়। অবশ্য ভালোই একদিকে। আমি বেসরকারি খাতে অনেক টেলিভিশন দিয়েছি, সেখানে সবাই টকশো করেন আর টক টক কথা বলেন। মাঝে মাঝে আমি বলি, আপনারা শুধু টক টক বলেন কেন? কথা টক-ঝাল-মিষ্টি হলেই না সুস্বাদু হবে।
তিনি বলেন, একজন তো বলে দিলেন, এত টাকা খরচ করে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল করার কী দরকার ছিল? মানে আপনি যা-ই করতে যান, কিছু লোকের মানসিকতাই হচ্ছে কিছুই ভালো লাগে না। এসব লোকের কথা ভুলে গিয়ে দেশের উন্নয়নের জন্য যা করা দরকার, সেটাই করতে হবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী কুইক রেন্টালের বিরোধিতাকারীদের সমালোচনা করেন। তিনি জানান, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র না করলে তখন বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যেত না। কুইক রেন্টালে ৯০ হাজার কোটি টাকা খরচ নিয়ে যারা সমালোচনা করেন, তাদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, এত বছরে বিদ্যুৎ পেয়ে যে ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানি করে যে কত লাভ হয়েছে, সেটা তো কেউই বলেন না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।