এমরান নাটক করছে: তথ্যমন্ত্রী

জাতীয় রাজনীতি
সুবর্ণবাঙলা প্রতিবেদন

আলোচনায় থাকার জন্য ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ হারানো এমরান আহমেদ ভূঁইয়া নাটক সাজিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, ‘এমরান মার্কিন দূতাবাসে গিয়েছিলেন। কিন্তু আশ্রয় পাননি। অপেক্ষা করে গেট থেকে চলে এসেছেন। আমার মনে হয়েছে এটি একটি নাটক। সম্ভবত তিনি সপরিবারে মার্কিন ভিসা চাচ্ছেন। আলোচনায় থাকার জন্য তিনি নাটকটি সাজিয়েছেন। আর বিভিন্ন মতাদর্শের মানুষ যে সরকারি কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত আছেন, এমরানের ঘটনায় তা স্পষ্ট। বিএনপি সবসময় দাবি করে যে, সরকারদলীয় কর্মীদের বিভিন্ন পদে বসানো হয়েছে। কিন্তু তাদের দাবি যে সঠিক নয় সেটি এই ঘটনার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে।’

‘বিএনপি’র আন্দোলন ব্যর্থ হতে পারে না। আপনারা (আওয়ামী লীগ) ভারতে যাবেন নাকি অন্য কোথাও যাবেন’- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এমন মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কোথাও যাব না, আমরা এ দেশে আছি, এ দেশেই থাকব। রিজভী সাহেবরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন পাকিস্তানে যাবেন নাকি এখানে থাকবেন। কারণ উনাদের মহাসচিব বলেছেন, পাকিস্তানই ভালো ছিল। যদি পাকিস্তানই ভালো বলে মনে করেন তাহলে প্রয়োজনে তারা পাকিস্তান চলে যেতে পারেন বা অন্য কোথাও যেতে পারেন।’

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাইডেনের কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি কিছু আলোচনাও হয়েছে উলে­খ করে তিনি বলেন, ‘সেলফি রাজনীতিতে কী বার্তা দিচ্ছে? সাইডলাইনে বাইডেনের সঙ্গে কুশল বিনিময় হয়েছে, কিছুটা আলোচনাও হয়েছে। ছবি তো অনেক কথা বলে। ছবি নিয়ে তো অনেক গবেষণাও হয়। গতকালের ছবির ভাষা সাংবাদিক হিসাবে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। আগামী দিনে আরও ঘনিষ্ঠ হবে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ জি-২০ এর সদস্য না হলেও জোটটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট হিসাবে ভারত শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সেখানে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। উপমহাদেশের আর কোনো রাষ্ট্রনায়ককে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে, সেটির বিস্তারিত প্রধানমন্ত্রী ফিরে আসলে জানতে পারবেন।

তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নিজেই প্রধানমন্ত্রী এবং তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সঙ্গে সেলফি তুলেছেন, সেখানে কুশল বিনিময়সহ ছোটখাটো আলোচনাও হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আরব আমিরাত এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। অন্য রাষ্ট্রনায়কদের সঙ্গেও তার সাক্ষাৎ হয়েছে, সাইডলাইনে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর অত্যন্ত সফল হয়েছে।’

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আসছেন উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কদিন আগে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন। এতেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিশ্ব নেতাদের সুসম্পর্ক, সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক প্রমাণিত হয়।’

তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিরাপত্তা সংলাপ হয়েছে। এই ঘটনাপ্রবাহ যারা বিশ্লেষণ করেন তারা অনুধাবন করতে পারেন বর্তমান সরকারের সঙ্গে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কী সুসম্পর্ক রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের যে বহুমাত্রিক সম্পর্ক রয়েছে সেটি আরও ঘনিষ্ঠ করার জন্য দুদেশ কাজ করছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *