অনলাইন ডেস্ক
চন্দ্রযান। ছবি: সংগৃহীত
চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছে ভারতের চন্দ্রযান ৩। একের পর এক ধাপ সাফল্যের সঙ্গে পার করছে ইসরোর এই মহাকাশযান। নাসা-সহ বিশ্বের একাধিক মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ভারতের এই উদ্যোগের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলি থেকেও বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্য কামনা করেছেন।
ভারতের পর কি এবার মহাকাশযান পাঠাতে পারে বাংলাদেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা? কিছুদিন ধরেই নেটপাড়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এই প্রশ্ন।
বাংলাদেশের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের অন্যতম সাফল্য স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ। যদিও এটিই বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র স্যাটেলাইট। বাংলাদেশের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘স্পারসো’ গবেষণা ক্ষেত্রে বিশেষ কোনও সুযোগ তৈরি করতে পারেনি।
‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, “প্রতিষ্ঠার ৪৩ বছর পার হয়ে গেলেও মহাকাশবিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য সেভাবে কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি স্পারসো। বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট, গ্রাউন্ড স্টেশন গড়ে ওঠেনি।”
শুধু তাই নয়, স্পারসোর নিজস্ব কোনও স্যাটেলাইট প্রযুক্তি প্রোগ্রাম নেই বলেই জানানো হয়েছে এই প্রতিবেদন। স্পারসো এখনও পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ জাতীয় মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা অর্জন করতে পারেনি বলে বলা হচ্ছে।
বাংলাদেশের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র স্পারসোতে মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার পদ রয়েছে ১২টি। ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’-এর প্রতিবেদন মোতাবেক এই ১২টি পদের মধ্যে মাত্র দুইটিতে লোকবল রয়েছে। তাদের মধ্যে একজন শিগগিরই অবসর নিতে চলেছেন। অন্যদিকে, সেখানে প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে পদ রয়েছে পাঁচটি। তাতে কাজ করছেন মাত্র তিন জন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্পারসোর কর্মকর্তা ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’-কে জানান, যদি প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে অনুদান পাওয়া সম্ভব হয় সেক্ষেত্রে অনেকাংশে সুবিধা হবে। এই সংস্থাটি বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় রয়েছে।
স্পারসো প্রতিষ্ঠা হওয়ার ৩০ বছর পর ২০১০ সালে সেখানে গবেষণার জন্য তহবিলের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশ এশিয়া প্যাসিফিক স্পেস কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সদস্য। ফলে সেখানে একটি জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন রয়েছে।
গবেষকদের একাংশের কথায়, চন্দ্র অভিযান শুধু ব্যয়বহুল নয়, এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশকে প্রযুক্তিগতভাবে অনেক সমৃদ্ধশালী হতে হয়। সেক্ষেত্রে কি সাম্প্রতিক এক বছরে আদৌ বাংলাদেশের পক্ষে চন্দ্র অভিযান সম্ভব? অধিকাংশ গবেষক সার্বিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে নেতিবাচক জবাবই দিচ্ছেন।
(সূত্র: জনকণ্ঠ)