গ্র্যামি জয়ী লিজ্জোর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

বিনোদন

সুবর্ণবাঙলা অনলাইন ডেস্ক

জনপ্রিয় আমেরিকান র‍্যাপার লিজ্জো। ছবি: ফোর্বস

যৌন হয়রানির অভিযোগের মুখোমুখি গ্র্যামি-জয়ী আমেরিকান র‍্যাপার, গায়িকা লিজ্জো। প্রাক্তন ব্যাকগ্রাউন্ড ড্যান্সার তার বিরুদ্ধে যৌন, জাতিগত বিদ্বেষ ও বডি শেমিংয়ের মতো বিস্ফোরক অভিযোগ করেছে। লিজ্জোর আসল নাম, মেলিসা ভিভিয়েন জেফারসন।

তিন প্রাক্তন নৃত্যশিল্পী গায়িকার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি এবং বডি শেমিংয়ের এই অভিযোগ এনেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে আরও রয়েছে গায়িকার প্রযোজনা সংস্থা বিগ গ্রিল ট্যুরিং অধিকর্তা ও তার নৃত্য দলের প্রধান শার্লিন কুইগিল।

নৃত্যশিল্পী আরিয়ানা ডেভিস, নোয়েল রদ্রিগেজ ও ক্রিস্টাল উইলিয়ামস গায়িকার প্রযোজনা সংস্থার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছে।

এনবিসি নিউজের তথ্য অনুযায়ী, মামলায় একজন নৃত্য শিল্পী দাবি করেছিলেন যে ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে আমস্টারডামের একটি ক্লাবে একজন নগ্ন অভিনয়শিল্পীকে স্পর্শ করার জন্য তাকে জোর করা হয়। বর্তমানে লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি সুপিরিয়র কোর্টে মামলাটি চলছে।

এন্টারটেইনমেন্ট টুনাইটের তথ্য অনুসারে, ২০২১ সালে যখন আরিয়ানা ও ক্রিস্টাল গায়িকার রিয়েলিটি শো ‘ওয়াচ আউটে’কাজ করেছিলেন। তখন লিজোর কোম্পানি দুজনকে বরখাস্ত করে দেয়। এরপর নোয়েল ২০২২ সালে রিউমারস অ্যালবামের মিউজিক ভিডিওর জন্য লিজ্জোর সঙ্গে কাজ করতে গেলে তিনিও পরবর্তীকালে সহকর্মীদের হয়রানি দেখে পদত্যাগ করেন। মামলায় তিনজন নারী শার্লিন কুইগলিকে অভিযুক্ত করেছেন। মামলার অভিযোগে বলা হয় তিনি তাদের সঙ্গে ক্রমাগত যৌন হয়রানির চেষ্টা করেছেন।

ছবি: ফোর্বস

নৃত্যশিল্পীরা আরও দাবি করেন যে লিজো সেই সমস্ত ক্লাবগুলোতে অভিনয় শিল্পীদের নগ্ন করিয়ে তাদের দিয়ে নগ্ন শুটিং করাতেও বাধ্য করেন। আর তা করতে অপরাগতা প্রকাশ করায় তাদের বেত্রাঘাত করা হয়।

অভিযোগকারী আরিয়ানা ডেভিস, ক্রিস্টাল উইলিয়ামস ও নোয়েল রদ্রিগেজের দায়ের করা অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে লিঙ্গ, ধর্ম, জাতি ও অক্ষমতার ভিত্তিতে হয়রানির মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তাদের আরও দাবি, ৩৫ বছর বয়সী গায়কের অনুরোধগুলো মেনে না নিলে তার চাকরি হারানোর ভয় দেখাতেন।

একটি বিবৃতি অনুসারে, লিজো ও তার ম্যানেজমেন্ট টিম তাদের পারফরমারদের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করে, তা কেবল শুধুই বেআইনি নয় বরং হতাশাজনক। এমনকি মিসেস কুইগলি নৃত্য শিল্পীদের তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্মীয় বিশ্বাসের বশ্যতা দিয়ে হয়রানি করতেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *