সাড়ে ১৩ লাখ টাকার রসুনভর্তি ট্রাক নিয়ে চালক লাপাত্তা

আইন আদালত মফস্বল

সুবর্ণবাঙলা অনলাইন ডেস্ক

নাটোর থেকে ঢাকার মোকামে যাবার পথে সাড়ে ১৩ লাখ টাকা মূল্যের রসুন নিয়ে ৬ দিন ধরে লাপাত্তা সুমন আলী নামের এক ট্রাকচালক। এ ঘটনায় রোববার সন্ধ্যায় বড়াইগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যায় ট্রাকচালক নয়াবাজার হাট থেকে ৯ জন ব্যবসায়ীর প্রায় ৭ মেট্রিক টন রসুন নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।

লিখিত অভিযোগ ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার নয়াবাজার হাট থেকে ৬ ব্যবসায়ী ৩.৬৩০ মেট্রিক টন এবং পাশের নাদো সৈয়দপুর বাজার থেকে অপর তিন ব্যবসায়ী ৩.০৬০ মেট্রিক টন রসুন কিনেন। পরে দুই হাটের ব্যবসায়ীরা যৌথভাবে ট্রাকের মধ্যস্থতাকারী বড়াইগ্রামের রয়না ভরট গ্রামের হারুন ওরফে হারানের মাধ্যমে ঢাকায় মোকামে রসুনগুলো পৌঁছানোর জন্য একটি ট্রাক ভাড়া করেন।

চালক সুমন আলী সেদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে রসুনবোঝাই ট্রাক নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এর মধ্যে চালকের সঙ্গে একাধিকবার কথা হলেও রাত ১০টার দিকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর থেকে গত পাঁচ দিনেও চালক সুমনসহ ট্রাকের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তিনি রসুনগুলোও নির্ধারিত মোকামেও পৌঁছাননি।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী নয়ন ও রফিক হোসেন জানান, তারা বড়াইগ্রাম ও গুরুদাসপুরের বিভিন্ন হাট থেকে রসুন কিনে ঢাকার আড়তে বিক্রি করেন। গাজীপুর চৌরাস্তা, বাইপাইল ও কোনাবাড়ী আড়তে পৌঁছানোর জন্য রয়না ভরট গ্রামের ট্রাকের দালাল হারানের মাধ্যমে ট্রাকটি ভাড়া করেন; কিন্তু ছয় দিনেও কোনো যোগাযোগ না হওয়ায় তারা সব রসুন লোপাট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন।

ট্রাকের মধ্যস্থতাকারী হারুন ওরফে হারান জানান, ঢাকায় আড়তে রসুনগুলো পৌঁছানোর জন্য তিনি সাড়ে ১২ হাজার টাকা চুক্তিতে ট্রাকটি ভাড়া করেছিলেন। চালকের সঙ্গে তিনি সর্বশেষ বুধবার রাত ১০টা পর্যন্ত কথা বললে তিনি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে থাকার কথা জানান। এরপর থেকেই চালকের মোবাইল ফোনে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।

বড়াইগ্রাম থানার ওসি আবু সিদ্দিক সোমবার জানান, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। চালকের অবস্থান নির্ণয় ও রসুন উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *