সুবর্ণবাঙলা অনলাইন ডেস্ক
কেবল এডিস মশাই নয় চরিত্র বদলাচ্ছে ডেঙ্গু ভাইরাসও। ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গও পাল্টে যাচ্ছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।
সঠিক চিকিৎসা বা ভ্যাকসিন তৈরির জন্য এই মুহূর্তে দেশে কোন ধরনের ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি, উপসর্গ কেমন তা জানা প্রয়োজন। অথচ এ নিয়ে খুব বেশি গবেষণা নেই দেশে। তবে সায়েন্স ল্যাব ও ঢাকা মেডিক্যাল ডেঙ্গু ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং নিয়ে কাজ শুরু করেছে।
ডেঙ্গুজ্বরকে একসময় বলা হতো ব্রেকবোন ফিভার, কারণ এ রোগ হলে তীব্র জ্বরের পাশাপাশি রোগীর শরীরে তীব্র ব্যাথা হতো। এখন অল্প জ্বরের ক্ষেত্রেও ডেঙ্গু ধরা পড়ছে আবার শরীর ব্যাথা তীব্র না হলেও সহজেই দুর্বল হয়ে পড়ছেন রোগী। অনেক সময় ডেঙ্গু টেস্টে নেগেটিভ এলেও রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ কমে যাচ্ছে আশঙ্কাজনক হারে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে নতুন নতুন উপসর্গ পাওয়া যাচ্ছে। ডেঙ্গু টেস্টের জন্য যে রিয়েজেন্ট ব্যবহার হয় তাই বা নতুন ভ্যারিয়েন্টের ওপর কতটুকু কার্যকর, এসব প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করছে ঢাকা মেডিকেলের ভাইরোলজি বিভাগ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সুলতানা শাহানা বানু বলেন, গত কয়েক বছর ধরে ডেঙ্গুর রোগীদের পর্যবেক্ষণ করে দেখা যাচ্ছে উপসর্গের সাথে রোগের উপস্থিতি মিলছে না। রোগী দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গু পজেটিভ কিন্তু উপসর্গ নেই অন্যদিকে অনেকের ডেঙ্গুর মত উপসর্গ দেখা গেলেও টেস্ট করলে রেজাল্ট পজিটিভ হচ্ছে না। আমরা এখন পুরো বিষয়টি বোঝার জন্য জেনম সিকয়েন্সিং করবো।
করোনার সময়টাতে বাংলাদেশে সারস ভাইরাসের সবচেয়ে বেশী জিনোম সিকোয়েন্সিং করেছিলো বিসিএসআইর বা সাইন্স ল্যাব। তারাও কাজ করছে ডেন ভাইরাস নিয়ে। এবার ডেন টু, ত্রি এবং ফোর এর প্রকোপই বেশি দেখছেন তারা।
গবেষকরা বলছেন, ডেন ভাইরাসের জিনোমগুলোর মধ্যে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ অমিল থাকে যায় ফলে একই ছাঁচে ফেলে এই রোগের ভ্যাকসিন প্রস্তুত করাটাও কঠিন। তবে ডেঙ্গু ভাইরাস যেনো সহজে সনাক্ত করা যায় সেজন্য কাজ করবে এই গবেষণা প্রতিষ্ঠান।